ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: বিশ্বভারতী (Visva Bharati university) কর্তৃপক্ষ চিঠি দিয়ে আলাপিনী মহিলা সমিতিকে ৩১ডিসেম্বরের মধ্যে ‘নতুন বাড়ি’ ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছিল। আলাপিনী জানিয়ে দিয়েছিল তারা ঘর ছাড়বে না। শুক্রবার সেই ‘নতুন বাড়ি’ তে তালা ঝুলিয়ে দিল কর্তৃপক্ষ। তারপরেই প্রথমে ‘নতুন বাড়ি’র সামনে এবং পরে আনন্দ পাঠশালার সামনে অবস্থানে বসেন সমিতির সদস্যরা। দীর্ঘক্ষণ তাঁরা বসে থাকেন। এবং রবীন্দ্র সংগীত গেয়ে বিক্ষোভ দেখান। পুরো ঘটনার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আশ্রমিক, প্রাক্তনী, ছাত্রছাত্রী ও অধ্যাপকেরা।
বিশ্বভারতী সূত্রে জানা গিয়েছে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের (Rabindranath Tagore) অনুপ্রেরণায় ১৯১৬ সালে সেই সময়ের আশ্রমবাসী মহিলারা আলাপিনী মহিলা সমিতি প্রতিষ্ঠা করে। প্রতিমা দেবী, দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুরের পুত্রবধূ হেমলতা দেবী, ক্ষিতিমোহন সেনের পত্নী কিরণবালা দেবী প্রধান উদ্যোগ নিয়েছিলেন। দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর এর নামকরণ করেন ‘আলাপিনী’। শান্তিনিকেতনের আলাপিনী মহিলা সমিতি গত ১০৪ বছর ধরে চলছে। সমিতির অফিস রয়েছে ‘নতুন বাড়ি’তে। বুধবার আলাপিনী মহিলা সমিতি সদস্যরা বিশ্বভারতীর কাছে অনুমতি নিয়ে অমিতা সেনের দেওয়া দশটি বিভিন্ন ছবি তারা নতুন বাড়ি থেকে সরিয়ে নেন। এদিন সমিতির সদস্যরা বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেন সমিতি ‘নতুন বাড়ি’ ছাড়বে না।
[আরও পড়ুন: নাম না করে বিজেপি কর্মীদের ‘ঠেঙিয়ে পগারপার’ করার নিদান, ফের স্বমেজাজে অনুব্রত]
এদিকে, শুক্রবার বিকালে বিশ্বভারতী থেকে সমিতিকে একটি চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আগামী তিনদিনের মধ্যে সমিতিকে ‘নতুন বাড়ি’ থেকে সব জিনিস সরয়ে নিতে হবে। সমিতির পক্ষ থেকে সভাপতি অপর্ণা দাস মহাপাত্র বলেন, ‘নতুন বাড়ি’তে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ তালা দিয়ে দিয়েছে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এই মুহূর্তে ‘নতুন বাড়ি’ ছাড়ছি না।