দেব গোস্বামী, বোলপুর: বিদ্যুৎ জমানায় বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে প্রাক্তনী ও প্রবীণ আশ্রমিকদের সম্পর্কের অবনতি হয়। বলা চলে বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোনও উৎসব থেকেই কার্যত ব্রাত্য হয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা। বিদ্যুৎ জমানার অবসান ঘটতেই যেন খুশির হাওয়া। উৎসবের আমেজে মাতলেন প্রাক্তনী ও প্রবীণ আশ্রমিকরা।
বৃহস্পতিবার সকালে বৈদিক মন্ত্র পাঠ করে ছাতিমতলায় প্রতীকী উপাসনা করেন তাঁরা। রবীন্দ্রভবনের সামনে থেকে উপাসনাগৃহ পর্যন্ত মিছিল করেন। রবীন্দ্র সংগীতের সুরে ভরে ওঠে আকাশ বাতাস। শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনতেই প্রতীকী উপাসনার আয়োজন বলেও জানান প্রাক্তনী ও প্রবীণ আশ্রমিকরা।
[আরও পড়ুন: ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখিয়ে সহবাস ও আর্থিক প্রতারণা! সঙ্গীর বিরুদ্ধে থানায় সমকামী যুবক]
ফলক বিতর্কের মাঝে বুধবারই বিশ্বভারতীতে বিদ্যুৎ জমানার অবসান হয়। কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ মতো কলাভবনের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সঞ্জয় মল্লিক ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের দায়িত্বভার পালন করবেন বলেই জানিয়ে দেওয়া হয়। এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণার আগে থেকেই বিদ্যুৎ ‘বিরোধী’ অধ্যাপকরা মিষ্টি বিলি করতে শুরু করেন। কারণ, উপাচার্য থাকাকালীন একের পর এক বিতর্কে জড়িয়েছিলেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। আশ্রমিকদের একাংশের মতে, বিশ্বভারতীর গৈরিকীকরণের চেষ্টা করেন প্রাক্তন উপাচার্য। যার ফলে বিশ্বভারতীর ঐতিহ্য ক্ষুন্ন হয়েছে বলেই মনে করছেন তাঁরা। সেই ঐতিহ্য ফের ফিরিয়ে আনাই লক্ষ্য প্রাক্তনী এবং প্রবীণ আশ্রমিকদের।
দেখুন ভিডিও: