দেব গোস্বামী, বোলপুর: দুর্ঘটনা নাকি অন্য কিছু? নদীতে স্নান করতে নেমে বিশ্বভারতীর সঙ্গীত ভবনের ছাত্রের মৃত্যুর কারণ ঘিরে ধোঁয়াশা। ওই ছাত্রটির জলে ডুবে মৃত্যু হয়নি বলেই দাবি পরিবারের। বোলপুর থানার পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে।
মৃত ছাত্রের নাম মহাদেব হাজরা (২৪)। বাড়ি বোলপুর কালিমোহনপল্লি এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এলাকার এক বৃদ্ধের স্বাভাবিকভাবেই মৃত্যু হয়। সুখনগরের শ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। মঙ্গলবার কঙ্কালীতলায় কোপাই নদীতে অস্থি বিসর্জনের জন্য তার পরিবারের সঙ্গে বেশ কয়েকজন স্থানীয় যুবক গেছিলেন। বাকিরা ফিরে এলেও নদী থেকে স্নান করে ফেরেনি মহাদেব। আর তাতেই চিন্তা বাড়ে পরিবারের। বুধবার বোলপুর থানায় পরিবারের পক্ষ থেকে ছাত্র নিখোঁজ অভিযোগ জানানো হয়। এর পরই বোলপুর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক-সহ ডুবুরিরা নদীর এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্তে তল্লাশি চালায়। খোঁজার জন্য কলকাতা থেকে উদ্ধারকারী দলকেও ডাকা হয় ঘটনাস্থলে। উদ্ধারকারী দল আসার আগেই স্থানীয় দলের তৎপরতায় কঙ্কালীতলার শ্মশানের কাছে কোপাই নদীর ড্যামে একটি ঝোঁপ থেকে মৃতদেহটি পাওয়া যায়।
খবর পেয়ে ওয়ার্ডের বাসিন্দা তথা দুবরাজপুরের প্রাক্তন বিধায়ক নরেশ চন্দ্র বাউড়ি উদ্ধারকারী দলের সঙ্গে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। মৃতদেহটি উদ্ধার করে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয় ময়নাতদন্তের জন্য। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বোলপুরের কালীমোহনপল্লি এলাকায়। মৃত ছাত্রের বাবা সুনীল হাজরা জানান," ছেলে স্বাভাবিকভাবেই বাড়ি থেকে বেরয় অস্থি বিসর্জনের জন্য। রহস্যজনকভাবে কীভাবে মারা গেল কিছুই বুঝতে পারছি না। ৪ জন স্নান করে উঠে গেল অথচ আমার ছেলে নদীতেই থেকে গেল। আমরা চাই পুলিশ নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করুক।" নিছকই দুর্ঘটনা, নাকি মেরে ফেলা হয়েছে ছাত্রটিকে? তদন্তে নেমেছে বোলপুর থানার পুলিশ। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকায়।