ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: বিশ্বভারতী (Visva Bharati University) নিয়ে বিতর্ক যেন থামতেই চাইছে না। নাম না করে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে ‘বাহুবলী’ বলে কটাক্ষ করে ফের বিতর্কে জড়ালেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। উপাচার্যের অভিযোগ, অনুব্রত মণ্ডলকে ভয় পাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তরক্ষীরা। আর তাই বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনও অপরাধ হলে, থানার অভিযোগ জানানো যাচ্ছে না। একইসঙ্গে বিশ্বভারতীর অধ্যাপকদের চোর, ধান্দাবাজ বলেও কটাক্ষ করেন তিনি।
দিন কয়েক আগে বিশ্বভারতীর সমস্ত ভবনের অধ্যক্ষ, বিভাগীয় প্রধান ও আধিকারিকদের নিয়ে ভারচুয়াল বৈঠক করেছিলেন উপাচার্য। সেই বৈঠকেই বিদ্যুৎ চক্রবর্তী এধরনের বিস্ফোরক মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ। বৈঠকে তাঁর মন্তব্যের অডিও ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। তার পরই তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: মালদহ মেডিক্যাল কলেজে চারদিনে মৃত্যু ৬ শিশুর, অজানা জ্বরে বেড়েই চলেছে উদ্বেগ]
সেই বৈঠকে নাম না করে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) ‘বাহুবলী’ বলে কটাক্ষ করেন উপাচার্য। বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর কথায়, “বাহুবলীর জন্য থানায় অভিযোগ জানাতে পারছে না বিশ্বভারতী। বাহুবলীর দাপটে নিষ্ক্রিয় বিশ্বভারতীর নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ভয়ে বিশ্বভারতীর নিজস্ব নিরাপত্তা কর্মীরা থানায় অভিযোগ জানাতে নিষেধ করছে কর্তৃপক্ষকে।” উপাচার্য আরও বলেন, “ওই নিরাপত্তাকর্মীরা বলছেন, অনুব্রতর কাছে তাদের নাম চলে গেলে টিকতে দেবে না এলাকায়।”
ওই বৈঠকে বিশ্বভারতীর অধ্যাপকদের নিয়েও উপাচার্য কুরুচিকর মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ। ভাইরাল হওয়া অডিওতে্ শোনা গিয়েছে, উপাচার্য বলছেন, “বিশ্বভারতীর অধ্যাপকরা চোর, ধান্দাবাজ।” উপাচার্য আরও বলেন, তাঁর ‘দয়া’য় সংগীত ভবনের এক অধ্যাপকের চাকরি হয়েছে। সংগীত ভবনের অন্যান্য কোনও অধ্যাপক-অধ্যাপিকা তাঁকে পছন্দ করত না বলেও দাবি করেছেন বিদ্যুৎবাবু। সংগীত ভবনে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র চুরি প্রসঙ্গ নিয়ে একথা বলেন উপাচার্য। এহেন মন্তব্য ভাইরাল হলেও এনিয়ে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।