ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: সাধারণতন্ত্র দিবসে দিল্লির রাজপথে ‘ব্রাত্য’ বাংলার ট্যাবলো। তা নিয়ে কেন্দ্র এবং রাজ্যের মধ্যে সংঘাত চলছে। তারই মাঝে এ বিষয়ে মুখ খুলে অস্বস্তি বাড়ালেন বিশ্বভারতীর (Visva Bharati University) উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের বিরোধিতায় সরব বিশ্বভারতীর উপাচার্য।
উপাচার্য বলেন, “আজকের দিনে তুচ্ছ সব ইস্যু নিয়ে আমরা নিজেদের মধ্যে লড়াই করছি। কোথায় কী স্ট্যাচু হবে, কোথায় কোন ট্যাবলো যাবে এটা এখন বড় ইস্যু। এই ট্যাবলো যেত বা বড় কোন স্ট্যাচু তৈরি করা হত তাহলে যারা গরিব মানুষ রয়েছেন তাদের কি পেট ভরবে? গ্রামের মানুষদের দুঃখ, দুর্দশা কমবে? এই সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় এসেছে। আজকে ভারতবর্ষের ৩৪শতাংশ মানুষ দু’বেলা খেতে পান না। কিন্তু কেউ আমরা সবার সামনে বলতে পারি না রাজা তুমি ল্যাংটা।”
[আরও পড়ুন: কারখানা খোলার দাবিতে কাঁকিনাড়ায় রেল অবরোধ, বিপাকে নিত্যযাত্রীরা]
তিনি আরও বলেন, “আজকে আমরা নিজেদের রাবীন্দ্রিক বলতে আমদের চোখে জল পড়ে। আশ্রমিক বলতে আমদের চোখে জল পড়ে। আর যখন বলা হয় রাবিন্দ্রীক, আশ্রমিক হতে হলে গুরুদের ভাবনাচিন্তা, আর্দশ জীবনে প্রতিফলিত করতে হবে আমি জানি না আমাদের মধ্যে কতজন এগিয়ে আসবেন। অনুশাসনের ডান্ডা খুব জরুরি। আমরা অনুশাসন মানি না। আমরা নিয়মশৃঙ্খলা মানি না। গুরুদেব যখন বলেছিলেন আমরা সবাই রাজা আমাদের এই রাজার রাজত্বে। তার মানে এই নয় মাৎস্যন্যায়।”
উত্তরাখণ্ডে বিশ্বভারতীয় নতুন ক্যাম্পাস নিয়েও মুখ খোলেন উপাচার্য। তিনি বলেন, “ভারতে প্রথম একটি বিশ্ববিদ্যালিয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস হচ্ছে। বিশ্বভারতীর শিক্ষকেরা বুদ্ধিমান। কিন্তু যে শিক্ষকেরা এই ধরনের কথা বলেন তাঁদের বুদ্ধিমত্তা নিয়ে আমার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। যদি সুযোগ থাকত তা হলে আমি চেষ্টা করতাম এই শিক্ষকেরা যাতে এখানে পড়াতে না পারেন। কিন্তু সেই সুযোগ নেই। রামগর ক্যাম্পাস খুব তাড়াতাড়ি চালু করা হবে। অনেকে আশঙ্কা করছে উপাচার্য এবার কলকাতা থেকে রামগড়ে চলে যাবেন। আজ বিশ্বভারতী পশ্চিমবঙ্গ ভারতী বা বোলপুর ভারতী হয়ে গিয়েছে। আমি থাকতে কিন্তু ওটা উওরাখণ্ড ভারতী হতে দেব না। তাই এখান থেকে বেশ কয়েকজনকে ওখানে যেতে হবে।”