দেব গোস্বামী, বোলপুর: মানের নিরিখে জাতীয় স্তরে আর পিছোল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউশন র্যাঙ্কিং ফ্রেমওয়ার্ক বা এনআইআরএফের তালিকায় এবারেও পিছিয়ে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। ২০২৪ এর প্রকাশিত শিক্ষা মন্ত্রকের র্যাঙ্কিং অনুযায়ী ১৫০ নম্বর স্থানে রয়েছে কবিগুরুর স্বপ্নের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। যেখানে এক দশক আগেও যে প্রতিষ্ঠান ১১ নম্বরে ছিল, গত কয়েক বছরে সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শুধুই অবনমন ঘটেছে।
সোমবার দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির ক্রমতালিকা প্রকাশিত হয়। এনআইআরএফের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী প্রায় সব ক্ষেত্রেই পিছিয়েছে বিশ্বভারতী। প্রথম স্থানে অন্ধ্রপ্রদেশের আচার্য এনজি রঙ্গা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, দ্বিতীয় স্থানে হরিয়ানার অ্যামিটি বিশ্ববিদ্যালয় এবং তৃতীয় তামিলনাড়ুর আন্নমালাই বিশ্ববিদ্যালয়। ২০২০ সালে ৫০ নম্বরে ছিল কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্বপ্নের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। পরের বছর আরও নিচে নেমে হয় ৬৪। ২০২২-এ ৯৮ নম্বরে এবার ২০২৪ সালেও ১৫০ -এ ঠাঁই হয়েছে বিশ্বভারতীর। এর পরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে। সমালোচনার ঝড় উঠেছে সর্বত্র। তবে কি বিশ্বভারতীর ঐতিহ্য ধাক্কা খাচ্ছে ? পৃথিবীজুড়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃতীরা রয়েছেন। কেন সেখানে শিক্ষার মানের অবনমন হচ্ছে। তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন প্রবীণ আশ্রমিক থেকে প্রাক্তনীরা।
[আরও পড়ুন: সাতদিন নয়, চারদিন বসবে দোকান! সোনাঝুরির হাট নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত বনদপ্তরের]
তবে শিক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রম-অবনমন নিয়ে বিভিন্ন মহলে যথেষ্ট চিন্তিত। অধ্যাপক, কর্মীদের একাংশের মত,"বিশ্বভারতীর উচ্চপদস্থ আধিকারিক থেকে উপাচার্য সবই অস্থায়ী ভারপ্রাপ্ত। দক্ষ দায়িত্বশীল প্রশাসক নেই। স্থায়ী উপাচার্য নেই। আচার্যও নেই। বেহাল পরিস্থিতিতে শিক্ষার মান তলানিতে এসে ঠেকেছে। খুবই দুঃখজনক। সবাই এগিয়ে যাচ্ছে, আর বিশ্বভারতী ক্রমাগত পিছিয়ে পড়ছে।" বিশ্বভারতীর অধ্যাপক সংগঠন ভিবিইউএফএ-র সম্পাদক কৌশিক ভট্টাচার্য জানান,"২০২৩ এর অবনমনে পর বিশ্বভারতী ২০২৪ এ আরও তলানিতে পৌঁছেছে। ৯৮ থেকে একেবারে ১৫০ স্নানে। কোনও উন্নতি হয়নি। এই অবনমন অব্যহত থাকলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমূহ বিপদ।" যদিও এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি বিশ্বভারতীর জনসংযোগ আধিকারিক অতিগ ঘোষ।