সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে সবরকমভাবে নিঃশর্ত সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান কিম জং উন। একই সঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে আমন্ত্রণও জানিয়েছেন পিয়ংইয়ংয়ে যাওয়ার জন্য। কিমের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন পুতিন। যা থেকে ওয়াকিবহাল মহল নিশ্চিত, অস্ত্রসস্ত্র ও প্রযুক্তির আদানপ্রদানের মাধ্যমে আগামিদিনে দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে। যার প্রভাব পড়বে যুদ্ধের ময়দানে। যদিও কিম ও পুতিনের মধ্যে অস্ত্র চুক্তি হয়েছে কিনা সেসম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।
রুশ প্রেসিডেন্ট নিশ্চিত করেছেন আগামিদিনে মস্কোর সঙ্গে পিয়ংইয়ংয়ের দৃঢ় সম্পর্কের ধারা অব্যহত থাকবে। মঙ্গলবার বিলাসবহুল সাঁজোয়া ট্রেনে রাশিয়া পৌঁছেছেন কিম। বুধবার আমুর অঞ্চলে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন কিম। চার ঘণ্টা আলোচনা করেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান। আমেরিকার সঙ্গে কিমের সম্পর্ক কেমন তা গোটা বিশ্বের জানা। এদিকে ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে পুতিনের সম্পর্ক আরও তলানিতে। এহেন পরিস্থিতিতে কিম ও পুতিনের বৈঠককে যে আমেরিকা একেবারেই ভালভাবে নিচ্ছে না, সেব্যাপারে নিশ্চিত ওয়াকিবহাল মহল। আগেই তাদের এব্যাপারে হুঁশিয়ারি দিতে দেখা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় তাইওয়ানে ৬৮টি চিনা যুদ্ধবিমানের অনুপ্রবেশ! ঘনাচ্ছে যুদ্ধের মেঘ]
কিম-পুতিন বৈঠকের পর জানা যায়, উত্তর কোরিয়াকে (North Korea) স্যাটেলাইট তৈরি করতে সাহায্য করবে রাশিয়া। অন্যদিকে, ইউক্রেন (Ukraine) যুদ্ধে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী লড়াইয়ে সবরকম ভাবে পুতিনের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন কিম। গতকাল উত্তর কোরিয়ার সর্বাধিনায়ক জানিয়েছেন, “আমি নিশ্চিত রুশ ফৌজ ও রাশিয়ার নাগরিকরা দুষ্টের দমন করবেন। ইউক্রেন যুদ্ধে জয় হবে ‘মহান রাশিয়ার’ই। রুশ ফৌজ যেভাবে লড়ছে তা দেখে আমি অভিভূত।”
কিমের রাশিয়া সফরের কথা প্রকাশ্যে আসতেই নানা মহলে গুঞ্জন শুরু হয়েছিল অস্ত্র চুক্তি হতে পারে দু’দেশের মধ্যে। গত মাসে হোয়াইট হাউসের (White House) জাতীয় নিরাপত্তার মুখপাত্র জন কিরবি এক প্রেস বিবৃতিতে জানিয়েছিলেন, রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু উত্তর কোরিয়ায় তাঁর সফর চলাকালীন রাশিয়ার জন্য পিয়ংইয়ংয়ের থেকে গোলাবারুদ কেনার বিষয়ে আলোচনা করেছিলেন। কিমের এই সফরের পর আমেরিকার দাবিতে কার্যত সিলমোহর পড়তে চলেছে।