সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন ভ্লাদিমির পুতিন। টানা পঞ্চমবার দেশের মসনদে বসার পরই তিনি মুখ খুললেন প্রয়াত বিরোধী নেতা অ্যালেক্সেই নাভালনিকে নিয়ে। নিজের ‘পয়লা নম্বর শত্রু’র মৃত্যু নিয়ে তাঁর বক্তব্য, “এগুলো হয়েই থাকে।” গত ফেব্রুয়ারি মাসে নাভালনির মৃত্যুর খবরে সরগরম হয়ে উঠেছিল রাশিয়ার রাজনীতি। দানা বেঁধেছিল নানা বিতর্ক। কিন্তু কোনও কিছুরই প্রভাব পড়েনি এই বারের ভোটপ্রক্রিয়ায়। নাভালনির মৃত্যু ও বিরোধী শক্তির ছন্নছাড়া দশায় প্রতাশ্যা মতোই ক্ষমতায় ফিরেছেন পুতিন।
সোমবার ফলাফল ঘোষণা হয় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের। দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ৮৭.৮ শতাংশ ভোট পেয়ে ফের রাষ্ট্রপ্রধানের কুর্সি দখল করেছেন পুতিন। এদিন ফলপ্রকাশের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখী হন তিনি। নাভালনির মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন করা হয় তাঁকে। যার উত্তরে পুতিন বলেন, “বন্দি বিনিময়ের মাধ্যমে নাভালনির মুক্তির প্রস্তাবে আমি রাজি হয়েছিলাম। কিন্তু এর কয়েকদিন পরেই ওঁর মৃত্যু হয়। এগুলো হয়েই থাকে। এখানে আপনার হাতে তো কিছু নেই। আমাদের কারওই কিছু করার নেই। এটাই জীবন।” নাভালনির মৃত্যুর প্রায় এক মাস পর তাঁকে নিয়ে নিরাবতা ভাঙলেন পুতিন।
[আরও পড়ুন: দুদশকের বান্ধবীকে বিয়ে করলেন অস্ট্রেলিয়ার ‘সমকামী’ বিদেশমন্ত্রী]
বলে রাখা ভালো, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি রুশ জেল কর্তৃপক্ষ নাভালনির মৃত্যুর খবর জানায়। আমেরিকা, ফ্রান্স, কানাডার মতো অনেক দেশ এই মৃত্যু নিয়ে পুতিনকেই তোপ দাগে। এমনকী এই বন্দি বিনিময়ের বদলে মুক্তি নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করে নাভালনির এক বন্ধু বলেছিলেন, “বন্দি বিনিময়ে খুব তাড়াতাড়ি জেল থেকে ছাড়া পাচ্ছিলেন নাভালনি। কিন্তু নাভালনি জেলের বাইরে থাকবে এই ব্যাপারটা সহ্য হয়নি পুতিনের। তাই তাঁকে হত্যা করা হয়েছে।” সোমবার এনিয়েই নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। যদিও নিজের বক্তব্যের সাপেক্ষে কোনও প্রমাণ দেননি তিনি।
উল্লেখ্য, রাশিয়ায় এর আগে বারবার প্রেসিডেন্টের বিরোধী নেতাদের রহস্য মৃত্যু হয়েছে। যা নিয়ে নানা বিতর্ক ঘনিয়েছে। সেই তালিকায় নবতম সংযোজন নাভালনি। প্রথম থেকেই এই মৃত্যু নিয়ে কুলুপ এটেছিল ক্রেমলিন। যেদিন মস্কোতে নাভালনিকে সমাধিস্ত করা হয় সেদিন ক্রেমলিনের তরফে বলা হয়েছিল, ‘অ্যালেক্সেই নাভালনির পরিবারকে আমাদের কিছুই বলার নেই।’ কিন্তু গত ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে সকলের নজর ছিল এই বিরোধী রুশ নেতার মৃত্যু প্রসঙ্গে পুতিনের বক্তব্যের উপর।