সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে মায়ানমার। প্রতিবেশীর চরম বিপদের দিনে তাকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল ভারত। মায়ানমারে ত্রাণ, উদ্ধারকাজ ও চিকিৎসা সংক্রান্ত সাহায্য পৌঁছে দিতে শুরু হল 'অপারেশন ব্রহ্ম'। প্রতিবেশীর পাশে থাকার বার্তা দিয়ে ইতিমধ্যেই মায়ানমারের সেনাপ্রধানের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এবার বিমানে করে ইয়াঙ্গুনে পাঠানো হল ১৫ টন ত্রাণ সামগ্রী। যার মধ্যে রয়েছে তাঁবু, কম্বল, স্লিপিং ব্যাগ, খাবারের প্যাকেট, হেলথ কিট, জেনারেটর ও প্রয়োজনীয় ওষুধ।

শুক্রবার ভারতীয় সময় ১১টা ৫০ মিনিটে ভূমিকম্পে কেঁপে মায়ানমার। যার উৎপত্তিস্থল ছিল সেদেশের সাগাইং শহর থেকে ১৬ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে। ভূমিকম্পের ব্যাপক প্রভাব পড়ে মায়ানমারের প্রতিবেশী থাইল্যান্ডেও। ভেঙে পড়ে একের পর এক বহুতল, ব্রিজ। যত সময় যায় শিরদাঁড়ায় কাঁপন ধরিয়ে দেওয়ার মতো ভূমিকম্পের একাধিক ভিডিও ভাইরাল হতে থাকে সোশাল মিডিয়ায়। এই ভূমিকম্পের জেরে শুধুমাত্র মায়ানমারে মৃত্যু হয়েছে এক হাজারের বেশি মানুষের। আহত হয়েছেন ১৫০০ জনের বেশি মানুষ। ভয়ংকর এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পরই সাহায্যের ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এরপর শনিবার দুপুরে সেখানকার সেনাপ্রধান অং হ্লাইং-এর সঙ্গে কথা বলেন মোদি। এক্স হ্যান্ডেলে সেই তথ্য প্রকাশ করে জানানো হয়, মায়ানমারকে সাহায্য করতে শুরু করা হচ্ছে 'অপারেশন ব্রহ্মা'। এর মাধ্যমে প্রতিবেশী দেশে ত্রাণ, মানবিক সহায়তা, উদ্ধারকারী দলের পাশাপাশি পাঠানো হচ্ছে ১১৮ জন সদস্যের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী।
বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এক্স হ্যান্ডেলে জানান, ভয়ংকর ভূমিকম্পের পর মায়ানমারকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত শুরু হয়েছে অপারেশন ব্রহ্মা। মায়ানমারে থাকা ভারতের রাষ্ট্রদূত নিজে ত্রাণ হস্তান্তরের বিষয়টি দেখছেন। মায়ানমার প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করা হচ্ছে। অন্যদিকে মায়ানমারের ভারতীয় দূতাবাসের তরফে জানানো হয়েছে, 'আমরা মায়ানমারের প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করছি। মায়ানমারে থাকা ভারতীয়দের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত এই দুর্ঘটনায় কোনও ভারতীয়র হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। আমাদের তরফ থেকে ভারতীয় নাগরিকদের জন্য একটি ফোন নম্বর প্রকাশ করা হয়েছে। যা হল, +৯৫-৯৫৪১৯৬০২।'