সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে শুভেচ্ছা জানালেন ভ্লাদিমির পুতিন। একে অপরের সঙ্গে কথা বলার ইচ্ছাও প্রকাশ করেছেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান। উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার বিপুল ভোটে জিতে দ্বিতীয়বার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন ট্রাম্প। তার পর থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি-সহ একাধিক রাষ্ট্রপ্রধান ট্রাম্পকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। কিন্তু ক্রেমলিনের তরফে শুভেচ্ছাবার্তা পাঠানো হয়নি।
বৃহস্পতিবার সোচিতে আয়োজিত ভালদাই ফোরামে বক্তৃতা দিতে গিয়ে পুতিন বলেন, "বিপুল ভোটে জয়ের জন্য ট্রাম্পকে শুভেচ্ছা জানাতে চাই।" সেই সময়েই পুতিনকে প্রশ্ন করা হয়, আগামী দিনে তিনি কী ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন? রুশ প্রেসিডেন্টের জবাব, তিনি কথা বলার জন্য তৈরি। অন্যদিকে নির্বাচনের পর একটি সাক্ষাৎকারে ট্রাম্পও বলেছেন, "আমি পুতিনের সঙ্গে কথা বলতে ইচ্ছুক।" রিপাবলিকান নেতার দাবি, নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পরে অন্তত ৭০ জন রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। তবে সেই তালিকায় নেই পুতিন।
উল্লেখ্য, ভ্লাদিমির পুতিনের বিরোধিতা করতে সেভাবে দেখা যায়নি ট্রাম্পকে। দুবছরেরও বেশি সময় ধরে চলতে থাকা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধেও আকারে-ইঙ্গিতে ক্রেমলিনের হয়েই সওয়াল করতে দেখা গিয়েছে রিপাবলিকান নেতাকে। যুদ্ধক্ষেত্রে হাজার হাজার প্রাণহানির পরে ট্রাম্পের যুক্তি ছিল, ইউক্রেনের উচিত, পুতিনের সঙ্গে সন্ধি করা। তাতে দুপক্ষেরই ক্ষয়ক্ষতি কমবে। সঙ্গে ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্টের কুর্সিতে থাকলে এক সপ্তাহের মধ্যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামিয়ে দিতেন।
কিন্তু ট্রাম্পের এত ‘সমর্থন’ সত্ত্বেও তাঁকে শুভেচ্ছা জানাতে ধীরে চলো নীতি নিয়েছে মস্কো। ব্যক্তি ট্রাম্প নয়, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে রাষ্ট্র আমেরিকাকেই বেশি গুরুত্ব দিতে চাইছে পুতিনের প্রশাসন। দীর্ঘদিনের ‘শত্রু’ আমেরিকার নতুন প্রেসিডেন্টকে আদৌ শুভেচ্ছা জানানো উচিত কিনা, সেই সিদ্ধান্ত নিতে দিনদুয়েক সময় নিয়েছে ক্রেমলিন। রুশ প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকোভের দাবি, নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে ট্রাম্প বেশ কিছু রুশবিরোধী মন্তব্য করেছেন। তার পরেও ট্রাম্পকে শুভেচ্ছা জানালেন পুতিন।