সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সম্প্রতি চিন সফরে গিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের। দুই রাষ্ট্রনেতাকে ক্যামেরার সামনে আলিঙ্গন করতে দেখা গিয়েছে। রীতিমতো লাল কার্পেট বিছিয়ে লালসেনার সঙ্গীত বাজিয়ে অভ্যর্থনা জানানো হয় পুতিনকে। শিশুদের সঙ্গে হাসিমুখে দেখা যায় তাঁদের। একসঙ্গে পুতিন আর জিনপিং যেন 'ঘনিষ্ঠ' বন্ধু। প্রকাশিত ছবি ও ভিডিও দেখলে তেমনই মনে হবে। কিন্তু... আসল সত্যিটা অন্য। পুতিনের কাছে এই সফর যতটা গুরুত্বপূর্ণ জিনপিংয়ের কাছে ততটা নয়। রাশিয়া এই মুহূর্তে গোটা বিশ্বে কোণঠাসা। তাদের কাছে 'শিবরাত্রির সলতে' বেজিং। কিন্তু উলটো ছবি তেমন নয়।
পুতিন কতটা মরিয়া, তা বোঝা যায় তাঁর কথা শুনলেই। কস্মিনকালেও নিজের সন্তানদের কথা প্রকাশ্যে বলেন না তিনি। কিন্তু চিনে গিয়ে বক্তব্য রাখার সময় পুতিন তাও করে ফেলেছেন। সেই সঙ্গে চিনের (China) অর্থনীতির ভূয়সী প্রশংসা করেন রুশ প্রেসিডেন্ট। জিনপিংকে (Xi Jinping) 'ভাইয়ের মতোই ঘনিষ্ঠ' বলেও দাবি করেন তিনি। কিন্তু জিনপিংয়ের বক্তৃতায় এমন উচ্ছ্বাসের লেশমাত্র ছিল না। পুতিনকে (Vladimir Putin) 'ভালো বন্ধু ও প্রতিবেশী' বলে সুখ্যাতি করলেও তিনি মোটেই আবেগে ভেসে যাননি। ছিলেন একেবারে 'ক্যালকুলেটিভ'।
[আরও পড়ুন: সিঙ্গাপুরে মাথাচাড়া করোনার! আক্রান্ত প্রায় ২৬ হাজার, সকলকে মাস্ক পরার পরামর্শ]
আসলে ইউক্রেনের সঙ্গে লড়াই বাঁধিয়ে ক্রমশই কোণঠাসা হয়েছে রাশিয়া (Russia)। যুদ্ধ থামার কোনও সম্ভাবনাও দেখা যাচ্ছে না। আর যত সময় গিয়েছে ততই পুতিন একঘরে হয়ে গিয়েছেন। পুরনো সম্পর্কগুলো বদলে গিয়েছে। এই অবস্থায় চিনকে আঁকড়ে না ধরলে তাঁর পক্ষে টিকে থাকাই সম্ভব নয়। সেটা ভালোই বুঝেছেন জিনপিং। তাই সেটার ফায়দা তুলতে চাইবেন তিনি। কিন্তু এতটাও ঘনিষ্ঠ হবেন না যাতে পশ্চিমি বিশ্বের রক্তচক্ষুর সামনে পড়তে হয়। তিনি কোনও ভাবেই মস্কোর মতো বিচ্ছিন্ন হতে চান না। তাই সমতা বজায় রেখেই পা ফেলতে চাইছেন। এমনটাই মনে করছে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা।