সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ক্রমশই কোণঠাসা হয়ে পড়ছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। এহেন পরিস্থিতিতে দুই বন্ধুর মধ্যে বিবাদ মেটাতে উদ্যোগী হতে চলেছে রাশিয়া। নানা ক্ষেত্রে আমেরিকাকে আটকাতে ভারত এবং চিনকে একত্রিত করার চেষ্টা করছে মস্কো। বৃহস্পতিবার থেকে রাশিয়ার (Russia) উদ্যোগে একসঙ্গে সামরিক মহড়ায় অংশ নিতে চলেছে বিবদমান দুই দেশ। এক সপ্তাহ ধরে এই মহড়া চলবে।
সেনার তিন বিভাগেই মহড়া চালানো হবে বলে জানা গিয়েছে। তবে ভারতের তরফ থেকে সামরিক বিমান বা যুদ্ধজাহাজ পাঠানো হবে না। সেনার তিন বিভাগ থেকে প্রতিনিধিদের পাঠানো হবে। স্থলসেনার তরফে গোর্খা রেজিমেন্টকে পাঠানো হচ্ছে সামরিক মহড়ায়। সবমিলিয়ে ভারতের তরফ থেকে ৭৫ জনের একটি দল রাশিয়ায় যাবে। ১ সেপ্টেম্বর থেকে জাপান সাগরে এই মহড়া শুরু হবে।
[আরও পড়ুন: ‘নোংরা হিন্দু গোমাংস খাও না’, আমেরিকায় এক ভারতীয় বংশোদ্ভুতকে হেনস্তা আরেকজনের]
সাম্প্রতিক পরিস্থিতি প্রসঙ্গে এই মহড়া নিয়ে বেশ আলোচনা চলছে আন্তর্জাতিক মহলে। ২০২০ সালের মে মাসে গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষের পরেই ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবনতি ঘটে। তারপর থেকেই দুই দেশের যৌথ সামরিক মহড়া বন্ধ রাখা হয়েছে। সেই সঙ্গে লাদাখ সীমান্তের সমস্যাও গুরুতর আকার ধারণ করেছে। বারংবার বৈঠকে বসেও কোনও সমাধানসূত্র মেলেনি। এহেন পরিস্থিতিতে একসঙ্গে সামরিক মহড়া করতে দুই দেশকে কেন রাজি করাল রাশিয়া, তা নিয়ে ওয়াকিবহাল মহলে আলোচনা চলছে।
বিশেষজ্ঞদের অনুমান, কোণঠাসা অবস্থায় দুই পুরনো বন্ধুর সাহায্য চাইছে রাশিয়া। ইউক্রেনে হামলা চালানোর পরে অধিকাংশ দেশগুলি রাশিয়ার নিন্দা করলেও, প্রকাশ্যে মস্কোর পাশে দাঁড়িয়েছে চিন (China)। প্রবল চাপ সত্বেও রাশিয়ার নিন্দা করেনি ভারত। অধিকাংশ বিশেষজ্ঞদের মতে, নিরপেক্ষ অবস্থানের বার্তা দিয়ে আসলে রাশিয়ার সুবিধাই করে দিয়েছে নয়া দিল্লি। অন্যদিকে আমেরিকাও ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে খুবই আগ্রহী। এহেন পরিস্থিতিতে পুরনো বন্ধুকে কাছে টানতে চাইছে রাশিয়া। সেই কারণেই ভারত এবং চিনের মধ্যে সমস্ত বিবাদ মিটিয়ে দিতে চাইছেন পুতিন, যেন প্রয়োজন পড়লে দুই দেশই রাশিয়ার পাশে দাঁড়াতে পারে। তবে পুতিনের এই উদ্যোগ কতখানি সফল হবে, তার উত্তর দেবে সময়।