সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আড়াই বছর পেরিয়ে গেলেও থামেনি কামানের গর্জন। হানাহানি, মৃত্যুমিছিল সব কিছু নিয়েই জারি রয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। আর রক্তক্ষয়ী এই সংঘাতের প্রভাব পড়ছে রাশিয়ার জনসংখ্যায়। কমছে জন্মহার। এর পিছনে আরও একটি কারণ কাজের চাপ। এই সমস্যার মুশকিল আসান করলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। পরামর্শ দিলেন, কাজের ফাঁকে হোক কিংবা কফি খাওয়ার মাঝে, যখন খুশি লিপ্ত হন যৌনক্রিয়ায়।
সম্প্রতি এক রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ইউক্রেনের সঙ্গে চলমান যুদ্ধের কারণে রাশিয়ার জনসংখ্যাও হ্রাস পেয়েছে। যার ফলে লক্ষ লক্ষ নাগরিক দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন। এঁদের মধ্যে বেশিরভাগই তরুণ-তরুণী। রাশিয়ার বর্তমান জন্মহার ১.৫ শতাংশ। জনসংখ্যায় স্থিতিশীলতা আনতে প্রয়োজন ২.১। এই হিসাবই চিন্তা বাড়িয়েছে প্রেসিডেন্ট পুতিনের। তাই সমাধানের পথ খুঁজে বের করেছেন তিনি নিজেই। দেশের জনগণকে তাঁর নিদান, "যখন খুশি শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলুন। কাজের ফাঁকে, কফি-লাঞ্চ ব্রেকেও সঙ্গমে লিপ্ত হন।"
আবার শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে না পারার কারণ হিসাবে কাজের চাপকে আমল দিতে নারাজ রুশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইয়েভজেনি শেস্টোপলভ। তাঁর মতে, "রতিক্রিয়ায় শামিল হতে না পারার কারণ কখনও কাজের অতিরিক্ত চাপ হতে পারে না। এটা একটা তথাকথিত অজুহাত। কাজ কখনও বংশবৃদ্ধিতে বাধা হতে পারে না। জীবন খুবই ক্ষণস্থায়ী।" তাহলে উপায়? যৌনতায় মেতে ওঠার ক্ষেত্রে তিনি জোর দিয়েছেন অবসর সময় কিংবা কাজের ফাঁকের বিরতিকে। শেস্টোপলভের বক্তব্য, "বিরতিকে কাজে লাগান। সময় অপচয় করবেন না। তখনই পরিবার পরিকল্পনা করে ফেলে সঙ্গমে লিপ্ত হন।"
জানা গিয়েছে, দেশের জন্মহার বৃদ্ধিতে নানা পদক্ষেপ করছে ক্রেমলিন। চেলিয়াবিনস্ক এলাকায় মেয়েদের সন্তান জন্ম দিতে উৎসাহিত করছে প্রশাসন। ঘোষণা করা হয়েছে, ২৪ বছরের নিচে কোনও তরুণী শিশুর জন্ম দিলে তাঁকে প্রায় সাড়ে ৯ লক্ষ রুবল (রাশিয়ার মুদ্রা) দেওয়া হবে। সেপ্টেম্বর মাসের প্রকাশত তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথমার্ধে রাশিয়ায় জন্মহার সবচেয়ে কম। যা গত ২৫ বছরে সর্বনিম্ন। ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে জুনের মধ্যে, রাশিয়ায় মোট ৫ লক্ষ ৯৯ হাজার ৬০০ শিশুর জন্ম হয়েছে। যা ২০২৩ সালের একই সময়ের তুলনায় ১৬ হাজার কম। যুদ্ধের মাঝে জনসংখ্যার এই হ্রাস মাথাব্যথা বাড়িয়েছে পুতিনের।