সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইউক্রেন রাশিয়ার উপরে মিসাইল হামলা চালালে পশ্চিমি বিশ্বের উপরে পারমাণবিক হামলা চালাবে মস্কো। এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। জানিয়ে দিলেন, যদি রাশিয়ায় আছড়ে পড়ে ইউক্রেনের ছোড়া মিসাইল, তাহলে ফল ভুগতে হবে তাদের মদতদাতা আমেরিকা ও ন্যাটোর সদস্যভুক্ত দেশগুলিকে।
আসলে ইউক্রেন আমেরিকা ও ব্রিটেনের থেকে বিপুল দূরপাল্লার অস্ত্র সাহায্য পেয়েছে। যদিও তা ব্যবহারে ছিল বিধিনিষেধের জাল। কিন্তু জানা যাচ্ছে সম্প্রতি ব্রিটেন, আমেরিকার মতো দুই দেশ নাকি এই বিষয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছে। অর্থাৎ দ্রুত এই অস্ত্র রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবহারে অনুমতি পেয়েও যেতে পারে কিয়েভ। আর এই পরিস্থিতিতে পালটা চাপ বাড়াতে পুতিনের এমন হুঁশিয়ারি। মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
জানা গিয়েছে, গত সপ্তাহে আমেরিকা যান ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে তাঁর বৈঠকে আলোচনা হয় ইউক্রেনের ভাঁড়ারে থাকা ক্রুজ মিসাইল নিয়ে। সম্প্রতি ওই দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রই কিয়েভকে দিয়েছে ব্রিটেন। আবার এর আগে জেলেনস্কি আমেরিকা গেলেও এই নিয়ে কথা হয়েছিল। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট তাঁর কাছে সামরিক সহায়তার আর্জি জানান। এসবই নিঃসন্দেহে চাপ বাড়িয়েছে পুতিনের উপরে। তার উপরে সাম্প্রতিক সময়ে যেভাবে ইউক্রেন পালটা হামলা চালাতে শুরু করেছে, তাতে মস্কোকে চাপে পড়তে হয়েছে।
আসলে এতদিন যুদ্ধে দূরপাল্লার অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি ছিল না ইউক্রেনের। রাশিয়ার লাগাতার হামলার পর এবার সে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে চলেছে ন্যাটো। ফলে বদলে যেতে চলেছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ঝাঁজ। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর রাশিয়ায় কপালে চিন্তার ভাঁজ বাড়াচ্ছে ইউক্রেনের দূরপাল্লার ক্রুজ মিসাইল স্ট্রোম স্যাডো। এহেন পরিস্থিতিতে পুতিনের এই হুঁশিয়ারি।
গত ২ বছর ধরে বিরামহীন যুদ্ধ চলছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে। ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রথমবার ইউক্রেনের আকাশে দেখা মেলে রুশ রণতরীর। সেই শুরু। হামলা ও পালটা হামলায় হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে দুই দেশে। চলতি বছরের শুরুতে রাশিয়ার হামলা রুখতে রাশিয়ার মাটিতেই জোরাল হামলার নীতি নিয়েছে ইউক্রেন। চলছে রাশিয়ার দখলে যাওয়া একাধিক অঞ্চল ফের নিজেদের দখলে আনার।