shono
Advertisement

Breaking News

বেল্ট অ্যান্ড রোড সম্মেলনে চিনের অতিথি পুতিন, নজর রাখছে ভারত

আমেরিকা বিরোধী দেশগুলোর সঙ্গে জোটবদ্ধ হতে চাইছেন পুতিন।
Posted: 01:58 PM Oct 12, 2023Updated: 02:03 PM Oct 12, 2023

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দশ বছর পূর্ণ হচ্ছে চিনের বিতর্কিত ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ প্রকল্পের। সেই উপলক্ষে বেজিংয়ে আয়োজন করা হয়েছে এক সম্মেলনের। আমন্ত্রিত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা। প্রধান অথিতি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এই সুযোগেই পশ্চিমের দেশগুলোর বিরুদ্ধে জোট গড়ার ক্ষেত্রে একজোট হতে পারে চিন ও রাশিয়া বলে মনে করছেন কূটনীতিকরা। তবে, এই গোটা ঘটনাবলি ভারতের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।   

Advertisement

‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ প্রকল্পকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সহযোগিতার সম্পর্ক গড়ে তুলতে চায় জিনপিং প্রশাসন। এনিয়ে চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মাও নিং জানিয়েছেন, “বেজিংয়ে বেল্ট অ্যান্ড রোড প্রকল্পের সম্মেলনে বিভিন্ন দেশ ও অংশীদারদের স্বাগত। উন্নয়ন ও পারস্পরিক সহযোগিতা নিয়ে স্বার্থে এই উদ্যোগ।” আগামী সপ্তাহেই চিনের রাজধানীতে হবে এই সম্মেলন। যেখানে যোগ দেবেন রুশ প্রেসিডেন্ট। এনিয়ে মস্কোর তরফে জানানো হয়েছে, পুতিনের সঙ্গে চিনে (China) যাচ্ছেন রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভও। বৈঠকে বসবেন চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ইর সঙ্গে। 

[আরও পড়ুন: খলিস্তানি সমর্থককে আশ্রয় দিল কানাডা, ফের উসকানি ভারতকে]

মুখে চিন যাই বলুক না কেন, বেল্ট অ্যান্ড রোড প্রকল্প আসলে ফাঁদ বলেই মনে করেন অধিকাংশ বিশ্লেষক। পরিকাঠামো উন্নয়নের নামে ঋণের ফাঁদ পেতেছে কমিউনিস্ট দেশটি। ভারত বরাবর এই প্রকল্পের বিরোধিতা করে এসেছে। কারণ, চিনা প্রকল্পের একটি অংশ গিয়েছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের উপর দিয়ে।       

এদিকে, ইউক্রেনের সঙ্গে সংঘাতের আবহে পুতিনের (Vladimir Putin) চিনে যাওয়া তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকদের একাংশ। এর আগে আমেরিকাকে চাপে ফেলতে উত্তর কোরিয়া ও চিনের সঙ্গে যৌথ নৌ-মহড়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছিল রাশিয়া। কারণ যুদ্ধের ময়দানে মস্কোর উপর চাপ বাড়াচ্ছে হোয়াইট হাউস। অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে কিয়েভকে সাহায্য করছে ওয়াশিংটন। এই প্রেক্ষিতে আমেরিকা বিরোধী দেশগুলোর সঙ্গে জোটবদ্ধ হতে চাইছেন পুতিন।

সূত্রের খবর, রুশ প্রেসিডেন্টের এই সফরে রাশিয়া-চিন দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে সামরিক সহযোগিতা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমঝোতা হতে পারে বলে ইঙ্গিত মিলেছে। অন্যদিকে, যুদ্ধের ময়দানে চিনকে রাশিয়ার পাশে না দাঁড়ানোর হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে আমেরিকা। ফলে পুতিন-জিনপিং সাক্ষাতের পর বাইডেন প্রশাসন কী বার্তা দেয় সে দিকে তাকিয়ে ওয়াকিবহাল মহল।

[আরও পড়ুন: ‘ওদের মৃত বলেই ধরে নিন’, গাজায় রক্তগঙ্গা বইয়ে দেওয়ার হুমকি নেতানিয়াহুর]

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement