সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিদ্রোহী ‘পুতিনের রাঁধুনি’ প্রিগোজিনকে (Yevgeny Prigozhin) ঘিরে রহস্য ক্রমেই দানা বাঁধছে। রুশ প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের ডাক দিয়েছিলেন ভাড়াটে সেনা ওয়াগনার বাহিনীর প্রধান। এরপর শোনা যায়, তিনি বেলারুশে গিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কো জানিয়েছিলেন, রাশিয়ায় ফিরে গিয়েছেন প্রিগোজিন। কিন্তু সেই সঙ্গেই তৈরি হয়েছে অন্য সম্ভাবনাও। পেন্টাগন সূত্রের দাবি, আদৌ রাশিয়াই (Russia) ছাড়েননি তিনি!
বিশ্বে আলোড়ন তৈরি করে গত ২৪ জুন আচমকাই মস্কোর দিকে রওনা দেয় ওয়াগনার যোদ্ধারা। বাহিনীর প্রধান প্রিগোজিন হুঙ্কার দেন, “আমাদের পথে যে আসবে ধ্বংস হয়ে যাবে।” তবে, পুতিনের চাপের মুখে কয়েক ঘণ্টা পরেই রণে ভঙ্গ দেন তিনি। এক অডিও বার্তায় প্রিগোজিন বলেন, “রুশ ভাই-বোনেদের রক্ত ঝরার আশঙ্কা এড়াতেই আমরা মস্কোর রাজপথে প্রতিবাদের সিদ্ধান্ত বাতিল করেছিলাম।” এরপর কয়েকদিন যেতে না যেতেই শোনা গেল তিনি ফিরে গিয়েছেন সেন্ট পিটার্সবার্গেই, যা পুতিনের জন্মভূমি।
[আরও পড়ুন: ‘ওঁর কাঁধে অনেক দায়িত্ব’, অশোক গেহলটের বশ্যতা কি মেনে নিলেন শচীন পাইলট]
আর এরপরই মাথাচাড়া দিচ্ছে ‘নয়া থিওরি’। মার্কিন সূত্রের দাবি, কখনও বেলারুশে যাননি প্রিগোজিন। সারাক্ষণ তিনি রাশিয়াতেই ছিলেন। এবং সম্ভবত নিজের কোনও ‘বডি ডাবল’কে তিনি পাঠিয়েছিলেন বেলারুশে। তবে রাশিয়ায় প্রিগোজিনকে কিন্তু সম্প্রতি দেখা যায়নি। ফলে এমন আশঙ্কাও তৈরি হচ্ছে, রুশ প্রেসিডেন্টের নির্দেশে কি খুন করা হয়েছে ওয়াগনার বাহিনীর নেতাকে? সেই সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।