ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: বর্তমানে সিবিআই (CBI) হেফাজতে রামপুরহাটের বগটুই কাণ্ডে ধৃত ব্লক তৃণমূল সভাপতি আনারুল হোসেন। তাকে নিয়ে ঘাসফুল শিবিরের (TMC) অন্দরে এখন জোর টানাপোড়েন। এ প্রসঙ্গে বিস্ফোরক বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। অনিচ্ছা সত্ত্বেও রামপুরহাটের বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুরোধেই আনারুলকে স্বপদে বহাল রাখা হয়েছিল বলেই দাবি তাঁর। পঞ্চায়েত ভোটের কথা মাথায় রেখেই আনারুলকে ব্লক সভাপতি পদে রাখার কথা বলেছিলেন বলেই পালটা দাবি তৃণমূল বিধায়কের।
সম্প্রতি রামপুরহাটের (Rampurhat) তৃণমূল বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা একটি চিঠি ভাইরাল হয়ে যায়। বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) উদ্দেশে লেখা চিঠি নিয়ে চলছে জোর আলোচনা। গত ২০২১ সালের ১০ জুন লেখা ওই চিঠিতে পঞ্চায়েত নির্বাচন পর্যন্ত আনারুল হোসেনকে ব্লক তৃণমূল সভাপতি পদে বহাল রাখার আবেদন জানান আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। অনুব্রত মণ্ডলের দাবি, “এলাকায় ভোটের ফলাফল খারাপ হয়। বহু গ্রামবাসীর থেকে নানা অভিযোগ কানে আসছিল। সে কারণেই আনারুলকে সরিয়ে দিতে চেয়েছিলাম। আমি অন্য ব্লক সভাপতি চেয়েছিলাম। তবে আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় অভিজ্ঞ মানুষ। তিনি আনারুলকে (Anarul Hossain) পঞ্চায়েত নির্বাচন পর্যন্ত রাখতে বললেন। সে কারণেই সরালাম না।”
[আরও পড়ুন: SSC নিয়োগে বেনিয়ম মামলা: ফের কড়া নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের, কী জানাল আদালত?]
আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় আনারুলকে স্বপদে বহাল রাখার দাবি জানিয়ে যে তাঁকে চিঠি দিয়েছিলেন তা স্বীকার করে নেন অনুব্রত। তবে কীভাবে চিঠিটি ভাইরাল হল, তা বুঝতে পারছেন বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা। আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Ashish Banerjee) ওই ভাইরাল চিঠির সত্যতা স্বীকার করেছেন। রামপুরহাটের তৃণমূল বিধায়কের দাবি, “শুধুমাত্র সংগঠনের কথা ভেবেই আনারুলকে স্বপদে বহাল রাখতে বলেছিলাম। সর্বসম্মতিক্রমেই আনারুলকে ব্লক সভাপতি রাখা হয়েছিল। এটা সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত।”
এই বিষয়টি নিয়ে ঘাসফুল শিবিরকে খোঁচা দিতে ব্যস্ত বিরোধী বিজেপির (BJP)। দলের অন্দরে যে ভাঙন ধরেছে, তা অনুব্রত মণ্ডল এবং আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথোপকথনে স্পষ্ট বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের। অবশ্য এ বিষয়ে বিশদে না জেনে এখনই কোনও মন্তব্য করতে নারাজ তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।