সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ঘিরে বিধানসভায় তীব্র বচসা। বাদানুবাদে জড়ালেন তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পাল ও বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। দিলীপ বিধানসভায় প্রচার করে বিধিভঙ্গ করেছেন। এই অভিযোগ তুলেছিল অবিজেপি দলগুলি। খড়গপুরের বিধায়ককে সামনে পেয়ে তোপ দাগেন বেলেঘাটার বিধায়ক পরেশ পাল। তৃণমূল বিধায়কের অভিযোগ, পাহাড়ে যারা আগুন লাগিয়েছে তারা এখানে ভোট দিতে এসেছেন। মোর্চা বিধায়ক এবং তাঁদের সঙ্গে থাকা দিলীপ ঘোষকে উদ্দেশ্য করেই এই কথা বলেন পরেশ পাল। বোঝাতে থাকেন দিলীপ ঘোষই নাটের গুরু। মোর্চার বিধায়করা পালটা প্রতিবাদ করেন। বিধিভঙ্গের অভিযোগ মানলেও পরেশ পালের মন্তব্যে ক্ষুব্ধ দিলীপ ঘোষ।
[রাইসিনার দৌড়ে কোবিন্দ-মীরা, শুরু রাষ্ট্রপতি নির্বাচন]
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের কয়েক দিন আগে ক্রস ভোটিংয়ের জল্পনা উসকে দিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। জানিয়েছিলেন এ রাজ্য থেকে কিছু বাড়তি ভোট পেতে পারেন এনডিএ প্রার্থী রামনাথ কোবিন্দ। কোন শিবির থেকে ভোট আসবে তা অবশ্য তিনি খোলসা করেননি। সোমবার বিধানসভায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচন চলাকালীন দিলীপ ঘোষের আচরণে তারই বহিঃপ্রকাশ দেখা গেল। অভিযোগ, প্রকাশ্যেই তিনি এনডিএ প্রার্থীর হয়ে সওয়াল করতে থাকেন। এমনকী বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নানের ঘরেও প্রচার করেন। লাইনে দাঁড়ানো বিধায়কদের উদ্দেশে দিলীপ বলেন, ‘যে জিতবে তার পক্ষে থাকুন। পরে যেন বলতে পারেন জয়ী প্রার্থীকে ভোট দিয়েছিলেন।’ তাঁর সংযোজন, ‘বহু বিধায়ক এনডিএ প্রার্থী রামনাথ কোবিন্দকে ভোট দেবেন। ফলাফল তা প্রমাণ করবে।’ দিলীপের এই মন্তব্যে বিধানসভার লবিতে উত্তেজনা তৈরি হয়। তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পাল এর তীব্র প্রতিবাদ জানান। এদিন দিলীপের সঙ্গে ছিলেন পাহাড়ের তিন মোর্চা বিধায়ক। তাঁদের দেখে পরেশ বলেন, ‘পাহাড় জ্বালিয়ে এখানে অশান্তি করতে এসেছে। মুখ্যমন্ত্রীর দয়া করে রেখেছেন তাই এখানে আছেন। দিদি না থাকলে সবক শিখিয়ে দিতাম।’ তৃণমূল বিধায়কের এই মন্তব্যের প্রতিবাদ করেন মোর্চা বিধায়করা। পাহাড়ের ঘটনার জন্য পালটা রাজ্যকে তিন বিধায়ক দায়ী করেন। দিলীপ ঘোষের জবাব, ‘পরেশ পাল একসময় তাঁর বাড়ি ভাঙতে গিয়েছিলেন।উত্তেজিত হয়ে এসব বলছেন। অশালীন শব্দ প্রয়োগ করেছেন। ওরা হারবে এটাই তার প্রমাণ। তৃণমূলের পতন অনিবার্য।’ এদিন মোর্চা বিধায়করা জানান তাঁদের ওপর কোনও চাপ নেই।
[খয়রাশোলের স্কুলে ফের একই সঙ্গে বসে ক্লাস করবে ছাত্র-ছাত্রীরা]
এদিন ঘুরিয়ে অবশ্য ভোট প্রচারের অভিযোগ মেনে নেন দিলীপ ঘোষ। খড়গপুরের বিধায়কের দাবি তিনি ভোটের প্রচার করেননি। বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলেছেন। লাইনের পাশে এভাবে কী কথা বলা যায়? তার উত্তর অবশ্য মেলেনি। দিলীপের প্রচার নিয়ে, বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী জানান ক্রস ভোটিংয়ের অভিযোগ তিনি পেয়েছেন। এধরনের নির্বাচনে এমন কাজ করা উচিত হয়নি বলেই মতে সুজনের।
The post রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ঘিরে উত্তপ্ত বিধানসভা, তরজায় দিলীপ-পরেশ appeared first on Sangbad Pratidin.