সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৩৩ বছর ধরে এই বাংলোয় বাস অশরীরীর। বাংলোর নানা প্রান্তে ঘুরে বেড়ায় সে। বক্তা তেলেঙ্গানার ওয়ারাঙ্গাল শহরের কালেক্টর আম্রপালি কাটা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি যে কাহিনি ও ভিডিও পোস্ট করেছেন, তা দেখে গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠবে। কোনও সিনেমার চিত্রনাট্য নয়। ঘোর বাস্তবে সুস্থ-স্বাভাবিক অবস্থায় অশরীরীকে অনুভব করেন এই উচ্চপদস্থ আধিকারিক। আম্রপালি জানাচ্ছেন, জেলা প্রশাসনের তরফে থাকার জন্য তাঁকে একটি বাংলো দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেখানে তিনি একা থাকেন না। তাঁর সবসময়ের সঙ্গী একজন মহিলার আত্মা। এখানেই শেষ নয়, সেই মহিলার পরিচয়ও জানিয়েছেন কালেক্টর। বলেন, ১৩৩ বছর আগে এক সুপারিনটেন্ড্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার থাকতেন এই বাংলোয়। তাঁর স্ত্রী মিসেস জর্জ পামারেরই অতৃপ্ত আত্মা এখনও ঘুরে বেড়ায় বাংলোর আনাচে-কানাচে। তবে এখনও সেই অশীরীরী কোনও ক্ষতি করেনি তাঁর। সেই ভুতূড়ে বাংলোর ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।
[গর্ভে ধর্ষক বাবার সন্তান, নাবালিকাকে গর্ভপাতের অনুমতি দিল আদালত]
আম্রপলি কাটার এমন দাবিতে বিস্মিত জেলা প্রশাসনও। গোটা ঘটনাটি প্যারানরমাল এক্সপার্টরা খতিয়ে দেখবেন। তবে নানা তথ্য ঘেঁটে দেখা গিয়েছে সে সময় সত্যিই সেখানে জর্জ পামার এবং তাঁর পরিবার বাস করতেন। সেই এলাকার রাস্তাও তৈরি করেছিলেন ওই ইঞ্জিনিয়ার। নিজামের আমলে সে সময় সেখানকার একাধিক বিল্ডিংও তৈরি করেছিলেন তিনি। আর সেই মোহ কাটাতে পারেননি মিসেস পালমার। তাই এখনও এই বাংলোয় উপস্থিতি তাঁর। শুধু আম্রপালিই নয়, তাঁর আগে যেসব সরকারী কর্মী এই বাংলোয় ছিলেন, তাঁদেরও একইরকম অভিজ্ঞতা হয়েছিল। জেলাশাসককে সে কথা জানিয়েওছিলেন তাঁরা। বাংলোর একতলা থেকে নানা ধরনের শব্দ ভেসে আসত। সেই কারণে আম্রপালিকে একতলার ঘরে শুতে নিষেধ করেছিলেন জেলাশাসক। তাঁদের কথা মেনেই অন্য ঘরে থাকেন তিনি।
আম্রপালি আরও জানাচ্ছেন, ১৩৩ বছরেরও পুরনো বাড়িটিতে ফাটল ধরেছে। ঘরের দেওয়ালের ফাটল দিয়ে ঢুকে পড়ে বৃষ্টির জলও। তবে সম্প্রতি রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শুরু হয়েছে।
[প্রেমিকার রাগ ভাঙাতে রাস্তা জুড়ে ‘আই অ্যাম সরি’ হোর্ডিং, তারপর কী হল যুবকের?]
The post অশরীরীর সঙ্গে বাস করছেন সরকারি আমলা! নেটদুনিয়ায় ভাইরাল ভিডিও appeared first on Sangbad Pratidin.