সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত শুক্রবার সারাদিন ধরেই মণিপুরের (Manipur) মুখ্যমন্ত্রীর ইস্তফার ‘নাটক’ ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত পদত্যাগ আর করেননি এন বিরেন সিং (N Biren Singh)। এই পরিস্থিতিতে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি জানালেন, অত্যন্ত মর্মাহত হয়েই ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। পাশাপাশি মণিপুরের হিংসায় ‘বহিরাগত শক্তি’র উসকানি নিয়েও সরব হতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।
৬২ বছরের রাজনীতিককে বলতে শোনা যায়, ”আমি সত্য়িই অবাক হয়েছিলাম আমার বাড়ির সামনে অতজন মানুষকে একত্রিত হতে দেখে। আমার মনে হয়েছিল সবাই আমাকে ত্যাগ করেছে। তবে বাইরে গিয়ে যখন ভিড়টা দেখলাম, ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিলাম। বুঝতে পারলাম মানুষ আমাকে কতটা ভালবাসে। আর তাই আমার সিদ্ধান্ত বদলাই।”
[আরও পড়ুন: সমাজকর্মী তিস্তাকে এক সপ্তাহের অন্তর্বর্তী জামিন দিল সুপ্রিম কোর্ট]
সেই সঙ্গে তাঁর দাবি, যেভাবে মণিপুরের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীকে দায়ী করা হচ্ছে তা তিনি একেবারেই মেনে নিতে পারছেন না। তাঁর কথায়, ”এমন কঠিন সময়ে অনেকেই আমাদের নেতাদের যোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন। আমার কুশপুতুল পোড়ালে আমার কিছু এসে যেত না। অথচ ওরা প্রধানমন্ত্রীর কুশপুতুল পোড়াচ্ছে! উনি কী করেছেন? কোনও কোনও অঞ্চলে বিজেপি অফিসে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আমি সত্য়িই মর্মাহত। নিজেকেই প্রশ্ন করতে শুরু করেছিলাম, আমি কি কোনও ভুল করেছি? আমরা এর জন্য একেবারেই প্রস্তুত ছিলাম না। আমাদের যা করার তাই-ই তো করেছি। কুকি ভাইরা আমার উপরে ক্ষিপ্ত, কারণ আমি বেআইনি অনুপ্রবেশকারীদের বের করে দিচ্ছিলাম, চোরাচালানকারীদের ধরছিলাম।”
পুরো বিষয়টিকেই পরিকল্পনামাফিক বলে দাবি বিরেনের। যদিও কেন এভাবে হিংসা ছড়ানো হচ্ছে, সেবিষয়ে তিনি অবগত নন। তিনি বলেন, ”মণিপুরের সীমান্তে রয়েছে মায়ানমার। চিনও কাছেই। আমাদের সীমান্তের ৩৯৮ কিমি এলাকা প্রহরাহীন। নিরাপত্তা রক্ষীরা রয়েছেন ঠিকই। কিন্তু এত বড় এলাকায় নজরদারি চালানো সহজ নয়।”