সংবাদ প্রতিদিন জিডিটাল ডেস্ক: দেশের সব নাগরিক যাতে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে তার জন্য প্রচুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আসলে বৃহত্তম গণতন্ত্রের ভোট উৎসবে সবাইকে যোগদান করাতে কোনও খামতি রাখতে চাইনি কমিশন। এবার তাদের সেই উদ্যোগে সহযোগিতা করতে এগিয়ে এলেন হিমাচল প্রদেশের ৫ হাজার মহিলা। ভোটারদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে রাজ্যের প্রথাগত পোশাক পড়ে ভোটার কার্ড হাতে নিয়ে লোকনৃত্যে অংশ নিলেন তাঁরা। বুধবার অভিনব এই ঘটনাটি ঘটেছে হিমাচল প্রদেশের কুলু জেলার ঢালপুরে। যা নতুন রেকর্ড গড়ে জায়গা করে নিয়েছে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস-এ। কারণ, ভোটার কার্ড নিয়ে এতবড় লোকনৃত্যের অনুষ্ঠান আগে কখনও হয়নি।
[আরও পড়ুন- নাগরিকত্ব নিয়ে অভিযোগ ভিত্তিহীন, রাহুলকে স্বস্তি দিল সুপ্রিম কোর্ট]
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোটদানের বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছিলেন হিমাচল প্রদেশের নির্বাচনী আধিকারিকরা। স্থানীয় মানুষদের কাছ থেকেও এই বিষয়ে পরামর্শ চাওয়া হয়েছিল। সেসময় এই অনুষ্ঠানটির বিষয়ে প্রস্তাব দেন কয়েকজন। অভিনব এই উদ্যোগের কথা শুনে সম্মতি দিতে দেরি করেননি প্রশাসনিক আধিকারিকরা। বরং কীভাবে এই অনুষ্ঠানটিকে সফল করা যায় তা নিয়ে বিশদে আলোচনাও চালানো হয়। বুধবার এই পরিকল্পনাকে বাস্তব রূপ দেন হিমাচল প্রদেশের ৫ হাজার মহিলা। যার ভিডিও স্যোশাল মিডিয়ায় পোস্ট হওয়া পরেই উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়েছেন নেটিজেনরা। এই উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করে বলছেন, ভারতের সব নাগরিককে সচেতন করার জন্য যে উদ্যোগ হিমাচল প্রদেশের মহিলারা নিয়েছেন তা সত্যিই প্রশংসার যোগ্য। দেশের সব নাগরিক তাঁদের এই উদ্যোগকে বাস্তবায়িত হতে দেখে অনুপ্রাণিত হতে পারে।
[আরও পড়ুন- গৌরী লঙ্কেশের খুনে অভিযুক্তদের বোমা তৈরি শিখিয়েছিল মালেগাঁও বিস্ফোরণে জড়িতরা]
এবার প্রথম দেশের ১৫০টি-র বেশি কমিউনিটি রেডিও স্টেশনের মাধ্যমে ভোটারদের সচেতন করতে উদ্যোগ নিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। এর জন্য দিল্লিতে ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড ইলেকটোরাল ম্যানেজমেন্ট (আইআইআইডিইএম) ও সেকিং মর্ডান অ্যাপ্লিকেশন ফর রিয়্যাল ট্রান্সফর্মেশন (এসএমএআরটি)-এর যৌথ উদ্যোগে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজনও করা হয়। এই কর্মশালার মূল উদ্দেশ্য ছিল ভোটারদের
সচেতন এবং শিক্ষিত করে তুলতে কমিউনিটি রেডিওকে দক্ষতার সঙ্গে কাজে লাগানো।
The post ভোটার কার্ড নিয়ে লোকনৃত্য, রেকর্ড গড়লেন হিমাচল প্রদেশের ৫ হাজার মহিলা appeared first on Sangbad Pratidin.