সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘সত্তর মিনিট হ্যায় তুমহারে পাস।’ চক দে ইন্ডিয়া ছবিতে কোচের ভূমিকায় শাহরুখ খানের সেই সংলাপ আজও তরতাজা ভারতীয়দের মনে। সেই সংলাপ শুধু রিল নয়, রিয়েল লাইফের খেলোয়াড়দেরও উদ্বুদ্ধ করেছিল। মঙ্গলবার ব্রিসবেনে ভারতের ঐতিহাসিক জয়ের পর ড্রেসিংরুমে রবি শাস্ত্রী বক্তব্য যেন কিং খানের সেই ছবির দৃশ্যকেই মনে করিয়ে দিল। যে ভিডিও এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।
ছেলেদের প্রশংসা করার আগে আনন্দে চোখের কোণ ভিজে যায় টিম ইন্ডিয়ার থিঙ্ক ট্যাঙ্কের। তারপর বলতে শুরু করেন। শাস্ত্রীর কথায়, “এই ভারতীয় দল অস্ট্রেলিয়ার শিড়দাঁড়া নাড়িয়ে দিয়েছে। অ্যাডিলেডে ৩৬ অল আউট থেকে মেলবোর্নে ঘুরে দাঁড়ানোর পর সিডনির অনবদ্য লড়াই। আর তারপর এই দিনটা। এমন মুহূর্ত বারবার আসে না। তাই যতটা সম্ভব এই মুহূর্তটাকে উপভোগ করো।” এরপরই একে একে ক্রিকেটারদের নাম করে প্রশংসা করেন তিনি। শুভমান গিল, ঋষভ পন্থ, চেতেশ্বর পূজারা, অধিনায়ক অজিঙ্ক রাহানে এবং সর্বোপরি তিন তরুণ সুন্দর-শার্দুল-সিরাজ। তাঁদের অবিশ্বাস্য লড়াইয়ে ভর করেই অসাধ্য সাধন করেছে দল। এই ছন্দই ধরে রাখতে হবে বলেও জানান শাস্ত্রী। তাঁর সেই আবেগঘন ‘ভাষণে’ অতি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে আরও একটি বিষয়। তা হল ফিজিওদের ভূমিকা। চোটে জর্জরিত দলকে যে দ্রুত গতিতে সুস্থ করে তোলার চেষ্টা করেছেন ফিজিওরা, তারও তারিফ করেন ভারতীয় কোচ।
[আরও পড়ুন: চেন্নাইয়িনকে হারিয়ে গোয়ার সঙ্গে ড্রয়ের আক্ষেপ মেটাতে চায় সবুজ-মেরুন, স্ট্র্যাটেজি তৈরি হাবাসের]
বিরাটহীন তরুণ টিম ইন্ডিয়ার মধ্যে আত্মবিশ্বাসের বীজ বুনে দেওয়ার কাজটি নিপুণ হাতেই করেছেন শাস্ত্রী। সেই কারণে রাহানের পাশাপাশি বর্ডার-গাভাসকর সিরিজ জয়ের জন্য কোচকেও কৃতিত্ব দিয়েছেন প্রাক্তনরা। তাঁর তত্ত্বাবধানেই তো বিদেশের মাটিতে লড়াইয়ের সাহস পেয়েছেন সিরাজ-বিহারী-গিলরা।
এদিকে, বুধবার দুনিয়ার বিভিন্ন দেশের সংবাদপত্রের প্রথম পাতাটি কেড়ে নিল টিম ইন্ডিয়ার সাফল্য। পাকিস্তানের ডন থেকে নিউ ইয়র্ক টাইমস- সর্বত্র ভারতেরই জয়জয়কার। ডন (Dawn) যেমন এই একে ‘ভারতের সেরা জয়’ বলে ব্যাখ্যা করেছে। আবার গার্ডিয়ান ইউকে’র (Guardian UK) শিরোনাম, ‘অদম্য ইচ্ছাশক্তিই অস্ট্রেলিয়ায় জিতিয়ে দিল ভারতকে।’ এভাবেই গোটা বিশ্বে বন্দিত হচ্ছে টিম ইন্ডিয়া।