সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অন্ধকার ঘর। নীলাভ আলোটা কেবল চোখে পড়ছে। ভয়ে গলা শুকিয়ে কাঠ। কিন্তু টান এমন, চোখ কিছুতেই অন্যদিকে ঘোরানো যাচ্ছে না। আচমকা চিল চিৎকার…। ভূতুড়ে সিনেমার দেখার অভ্যাস যাঁদের রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে এ দৃশ্য ভয়ংকর বাস্তব। তবে ভয়ংকর হলেও ভূতুড়ে গল্প, সিনেমা নিয়ে প্রেম অনেকেরই রয়েছে। এমন মানুষদের জন্যই ভাল খবরটা শোনালেন গবেষকরা। ভূতুড়ে সিনেমা দেখলে শরীর, স্বাস্থ্য, মন সবই ভাল থাকে। হ্যাঁ, এমনটাই দাবি করেছেন গবেষকরা। কেন?
[‘রাজ চেন টানতেই পারত’, কেন একথা বললেন কাজল?]
কারণ,
১) ভূতের সিনেমা দেখলে মানুষের মনের সঙ্গে সঙ্গে শরীরও সচেতন হয়ে ওঠে। আচমকা রিল লাইফের প্রেতাত্মার চিৎকারে আপনিও হয়তো বারবার সোফা কিংবা বিছানায় লাফিয়ে ওঠেন। এতে কিন্তু প্রচুর ক্যালোরি বার্ন হয়। গবেষকদের দাবি, একটি ভূতুড়ে সিনেমা দেখা প্রায় ৩০ মিনিট হাঁটার সমান।
২) ভয়ের সিনেমা আপনাকে দুশ্চিন্তামুক্ত করে। হ্যাঁ, ঠিকই পড়ছেন। সিনেমার ভয়ে আপনি এতটাই মশগুল হয়ে যান যে তখন বাস্তব জীবনের সমস্যাগুলি ছোট মনে হয়।
৩) ধরুন ‘রাগিনী এমএমএস’ কিংবা ‘এভিল ডেড’ দেখতে বসেছেন। এই সময় আপনার মস্তিষ্ক কিন্তু সবচেয়ে বেশি সজাগ থাকবে। ফলে মস্তিষ্কে রক্তসঞ্চালন বাড়বে। আপনার মস্তিষ্ক বেশি সক্রিয়ভাবে কাজ করবে।
৪) গবেষণায় জানা গিয়েছে, ভয়ের সিনেমা দেখার সময় নারী-পুরুষ উভয়ের শরীরেই প্রচুর পরিমাণে অ্যাড্রিনালিন রাশ হয়। এর ফলে রক্তে শ্বেতকণিকার পরিমাণ বেড়ে যায়। আর শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়।
৫) প্রেমের প্রথম উষ্ণতার আঁচ পেতে সঙ্গীকে নিয়ে ভয়ের সিনেমা দেখার চেয়ে ভাল উপায় আর কিছু নেই। ভয়ের অজুহাতে আচমকা জড়িয়ে ধরার আনন্দ পেতেই পারেন। এভাবেই তো সম্পর্ক আরও গাঢ় হবে!
৬) প্রত্যেক মানুষের মধ্যে প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়ার শক্তি থাকে। তবে দৈনন্দিন জীবনে তা সূপ্ত অবস্থাতেই থেকে যায়। ভৌতিক সিনেমা এই প্রতিভাকে জাগ্রত করে।
৭) ব্যক্তিগত জীবনে সুখ নেই, অফিসে শান্তি নেই। এমন পরিস্থিতিতে ভয়ের সিনেমা দেখার চাইতে ভাল আর কিছুই হতে পারে না। কারণ ভয় এতটাই তীব্র অনুভূতি যে তা অন্যান্য ভাল-মন্দ গুলোকে জীবনে গৌণ করে দেয়।
[শিল্পীরা নয় কাজ বন্ধ করেছে প্রযোজকরা, দাবি আর্টিস্ট ফোরামের]
The post OMG! শরীর সুস্থ রাখতে ভূতের সিনেমা দেখার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের! appeared first on Sangbad Pratidin.