নিরুফা খাতুন: শহরে জলাশয়ের কচুরিপানা দিয়ে পরিবেশবান্ধব সামগ্রী তৈরি করতে আগ্রহী কলকাতা পুরসভা। সেইজন্য মাঝারি, হালকা ও ক্ষুদ্র শিল্প দপ্তরকে প্রস্তাব পাঠাচ্ছে পুরকর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি জলাশয় সংরক্ষণে অন্যান্য পদক্ষেপের চিন্তাভাবনা করছে প্রশাসন।
জলাশয় পরিষ্কারের খরচভার নেহাত কম নয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পরিষ্কার করলেও রক্ষণাবেক্ষণ হচ্ছে না। ফলে কিছুদিনের মধ্যে ফের কচুরিপানায় ভরে উঠছে। পুরসভার পক্ষে বারবার কচুরিপানা পরিষ্কার করা সম্ভবপর নয়। জলাশয়ের দূষণ ঠেকাতে কচুরিপানাকে মাঝারি হালকা ও ক্ষুদ্র শিল্পে ব্যবহার করতে চাইছে পুরসভা। শনিবার মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) একথা জানিয়েছেন।
[আরও পড়ুন: প্রেক্ষাগৃহের ভিতরে কেন্দ্রীয় নেতার অনুষ্ঠান, বাইরে মারামারি বিজেপি কর্মীদের! ICCR-এ অশান্তি]
শনিবার টক টু মেয়রে বেহালার ১২৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকে এক নাগরিক ফোন করে অভিযোগ করেন, তাঁর বাড়ির সামনে যে জলাশয় আছে তা রক্ষনাবেক্ষন হচ্ছে না। কচুরিপানায় ভরে জলাশয়ে দূষণ ছড়াচ্ছে। মশার উপদ্রব বাড়ছে। অভিযোগ পাওয়ার পর ওই জলাশয় পরিদর্শনে যেতে আধিকারিকদের নির্দেশ দেন মেয়র। শুধু একটা জলাশয় নয়। শহরে এরকম অনেক জলাশয় কচুরিপানায় ভরে উঠেছে। মেয়র জানান, উত্তর ২৪ পরগনায় কচুরিপানা দিয়ে ঝুড়ি-সহ নানা জিনিস তৈরির কারখানা হয়েছে। শহরে জলাশয় থেকে কচুরিপানা তুলে নিয়ে গিয়ে শিল্পের কাজে ব্যবহার করা হতে পারে। সেজন্য মাঝারি ছোট ও ক্ষুদ্র শিল্প দপ্তরকে প্রস্তাব পাঠানো হবে।
পাশাপাশি জলাশয় সংরক্ষণ করতে রাজ্যের মৎস্যদপ্তরের কাছেও মাছ চাষ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এছাড়া স্থানীয় ক্লাব বা যুবকরা যাতে এই সব জলাশয় মাছ চাষ করতে পারে তার জন্য এগিয়ে আসে সেজন্য আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু পুরসভার আবেদন সারা সেভাবে সারা মিলছে না।