স্টাফ রিপোর্টার: রাজ্যের আইসিডিএস কেন্দ্রগুলিতে মোট ৩২ হাজার ৬৫৯ জন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকা নিয়োগ করা হচ্ছে। তার মধ্যে কর্মীর শূন্যপদ ১২ হাজার ২৮, সহায়িকার শূন্যপদ ২০ হাজার ৬৩১। তবে উত্তর দিনাজপুর ও শিলিগুড়িতে বিজেপির মামলা থাকায় সেখানে নিয়োগ এখনই হবে না। শুক্রবার বিধানসভায় এই তথ্য দেন নারী ও শিশুবিকাশ এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. শশী পাঁজা।
কর্মী ও সহায়িকা উভয় ক্ষেত্রেই দ্বাদশ উত্তীর্ণ হতে হবে। আগে ১৮ থেকে ৪৫ বছর পর্যন্ত বয়সের সীমা থাকলেও নিয়ম বদল হওয়ায় ১৮ থেকে ৩৫ পর্যন্ত বয়সীরা এবার থেকে আবেদন করতে পারবেন। কর্মীদের ক্ষেত্রে ৭৫ ভাগ শূন্যপদ সরাসরি সহায়িকা থেকে নিযুক্ত হতে পারবেন। মন্ত্রীর বক্তব্য, দুটি ক্ষেত্রেই যোগ্যতামান এক হলেও কাজের ধরন অনুযায়ী আলাদা প্রশ্নপত্র করা হবে। মূলত খাদ্যের বিশুদ্ধতা বা হাইজিন, রোগ প্রতিরোধ বা ইমিউনাইজেশন এবং রান্না-সংক্রান্ত বিষয় ছাড়াও কেন্দ্র-রাজ্যের প্রকল্প বিষয়ে প্রশ্ন থাকবে। জেলাস্তর থেকে আলাদা আলাদাভাবে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। নতুন আইসিডিএস কেন্দ্র বিষয়ে শশী পাঁজা কেন্দ্রকে আক্রমণ করে বলেন, নতুন কেন্দ্রের অনুমোদন কেন্দ্র দিচ্ছে না। যদিও রাজ্যের চারটি ব্লক বেড়েছে। রাজ্যের তরফ থেকে আবারও চিঠি দেওয়া হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: জ্যোতিপ্রিয়-বাকিবুরকে কোটি কোটি টাকা দেন আনিসুর ও আলিফরা! চাঞ্চল্যকর তথ্য পেল ইডি]
এখন কর্মী ও সহায়িকাদের সাম্মানিক ভাতা যথাক্রমে সাড়ে চার হাজার টাকা ও ২ হাজার ২৫০ টাকা, যার মধ্যে কেন্দ্র ৬০ শতাংশ দেয়। রাজ্য ভাতা বাড়ালেও কেন্দ্রের তরফে বাড়তি টাকা মেলে না। অন্যদিকে কর্মী ও সহায়িকার অতিরিক্ত ভাতা যথাক্রমে ৩৭৫০ থেকে বাড়িয়ে ৪৫০০ ও ৪০৫০ থেকে বাড়িয়ে ৪৫৫০ টাকা করা হয়েছে। এই অতিরিক্ত ভাতার পুরোটাই দেয় রাজ্য। শিলিগুড়ির বিধায়ক বিজেপির শংকর ঘোষের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী স্পষ্টই বলেন, কোর্টের কেসটা তুলে নিন না। শেখ শাহনওয়াজের প্রশ্নের জবাবে তাঁর বক্তব্য, পূর্ব বর্ধমানে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কারণে কোর্ট কেস ছিল। সেখানে নিয়োগ শুরু হয়েছে। ওই জেলায় শূন্যপদ যথাক্রমে ১০৬৪ ও ১৫৯৯।