বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার সদর দপ্তরে চাকরি পেয়েছিলেন। যেতে হত সুইজারল্যান্ডে। কিন্তু সে পথে হাঁটলেন না তরতাজা যুবক। সটান না করে দিলেন। জানালেন, চাকরি করবেন না। বিদেশি সংস্থার লোভনীয় চাকরি ছেড়ে বেছে নিলেন কিনা মেঠো রাজনীতি! লাল ঝান্ডা কাঁধে সোনারপুর দক্ষিণে প্রচার সারছেন সিপিআই (CPI) প্রার্থী তরুণ মুখ শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়।
আদ্যোপান্ত বামপন্থী পরিবারের সন্তান শুভম স্কটিশচার্চ কলেজে বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ছিলেন। সেখানেই ছাত্র রাজনীতিতে হাতেখড়ি। সিপিআইয়ের ছাত্র সংগঠন এআইএসএই-র (AISAE) সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েন। স্কটিশের পর বালিগঞ্জ সায়েন্স কলেজ থেকে এমএসসি। বর্তমানে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো। বর্তমানে পার্টির ছাত্র সংগঠনের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
[আরও পড়ুন: ‘যোগী আদিত্যনাথের কাছে হিন্দুত্ব শিখব না’, বিজেপির তারকা প্রচারককে জোরাল কটাক্ষ অভিষেকের]
এহেন প্রোফাইলের শুভমকে একুশে ভোট (WB Assembly Election) ময়দানে প্রার্থী করতে এক মিনিট সময় নেয়নি সিপিআই নেতৃত্ব। বালির বাসিন্দা শুভম। কিন্তু এই কেন্দ্রে সিপিএমের দীপ্সিতা ধর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। তাই সোনারপুর দক্ষিণে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে মেধাবী এই ছাত্রকে। বহুজাতিক সংস্থার চাকরি ছেড়ে সটান রাজনীতিতে, তাও আবার এরকম একটা সময়ে। কেন? “কথাটা ক্লিশে হলেও শুধুমাত্র দিনবদলের লক্ষ্যে, গণতন্ত্রে হাল ফেরানোর তাগিদ থেকেই রাজনীতিতে আসা,” বলছেন নবাগত শুভম মুখোপাধ্যায়।
[আরও পড়ুন: ‘মোদি দশ লাখি সুটই পরেন না, মানুষকে ১৫ লক্ষ টাকার টুপিও পরান’, খোঁচা তৃণমূল প্রার্থী লাভলির]
সোনারপুর দক্ষিণে (Sonarpur Dakshin) শুভমের লড়াই খুব সহজ নয়। দু’দিকে তৃণমূল ও বিজেপির দুই তারকা প্রার্থী – লাভলি মৈত্র ও অঞ্জনা বসু। শুধুমাত্র টেলিভিশনের পরিচিত মুখ – এটুকু পরিচয়েই অনেকটা জনপ্রিয়তা কেড়ে নিয়েছেন তাঁরা। প্রচারের প্রায় সমস্ত আলো কেড়ে নেওয়া এই দুইয়ের মাঝে শুভম কতটা নিজের ইমেজ কতটা প্রতিষ্ঠা করতে পারেন, সেটাই দেখার। তবে শুভমকে সংগ্রামী অভিবাদন জানাচ্ছেন সোনারপুরের বামমনোভাবাপন্ন মানুষজন।