দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: সকাল থেকে সংযুক্ত মোর্চা জোটের আইএসএফের (ISF) সঙ্গে তৃণমূলের দ্বন্দ্বে ভোটের দিন উত্তপ্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনা। মগরাহাট পশ্চিমের আইএসএফ প্রার্থী মইদুল ইসলামের সঙ্গে তৃণমূল প্রার্থী তথা বিদায়ী মন্ত্রী গিয়াসুদ্দিন মোল্লার বচসার পর বেলা গড়াতেই ক্যানিং পূ্র্বে প্রায় একই ধরনের ঘটনা। তবে এখানে দ্বন্দ্বের কারণ আরও বড়। আইএসএফ বোমাবাজি করছে এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর (Cnetral force) নিষ্ক্রিয়, জোড়া অভিযোগ তুলে রাস্তায় ধরনায় বসলেন ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল প্রার্থী শওকত মোল্লা। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললেন তিনি। অন্যদিকে, বাহিনী ‘অতিসক্রিয়’, ভোটারদের এক বিশেষ রাজনৈতিক দলের হয়ে ভোটদানে প্রভাবিত করছেন বলে টুইটে সরব হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
মঙ্গলবার বেলার দিকে ক্যানিং পূর্ব (Canning purba) বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত বুলেনগড় এলাকায় বেলার দিকে উদ্ধার হয় বেশ কয়েকটি বোমা। অভিযোগ, তা দীর্ঘক্ষণ ধরে পড়ে থাকলেও কেন্দ্রীয় বাহিনী সেদিকে দৃকপাত করেনি। এমনকী ঘটনাস্থলেও আসেনি। এই অভিযোগে ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল প্রার্থী রাস্তায় বসে পড়েন। সঙ্গে তাঁর অনুগামীরাও ধরনায় বসে বিক্ষোভ দেখান। শওকতের অভিযোগ, আইএসএফ সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন জায়গায় অশান্তি করছে। তারাই রাস্তার পাশে ঝোপের ধারে বোমা রেখেছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীও আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার ক্ষেত্রে উদাসীন। তাই যতক্ষণ পর্যন্ত বাহিনী তার যথাযথ ভূমিকা পালন করবে, ততক্ষণ তিনি ধরনা জারি রাখবেন।
[আরও পড়ুন: ভোটের মরশুমে দুবরাজপুরে বিজেপি কর্মীর রহস্যমৃত্যু, তৃণমূলের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ]
পালটা অভিযোগ খারিজ করে আইএসএফের ভাইস প্রেসিডেন্ট নওশাদ সিদ্দিকির দাবি, তাঁরা নয়, তৃণমূলই ভোট লুটের জন্য এভাবে অশান্তি তৈরি করছে। তাঁদের কর্মীরাই বরং সকাল থেকে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছেন, তৃণমূলই বাধা দিচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে জেলায় কতটা স্বচ্ছভাবে ভোট হচ্ছে, তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছে বিরোধী দলগুলি। অন্যদিকে, এদিন কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে টুইটে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তাঁর অভিযোগ, বাহিনী ‘অতিসক্রিয়’। বুথে বুথে ভোটারদের গিয়ে এক বিশেষ রাজনৈতিক দলকে প্রভাবিত করছে। এ নিয়ে বারবার কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছে তৃণমূল, তাও উল্লেখ করেছেন দলের সুপ্রিমো।