ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: ভোট পরবর্তী হিংসা অব্যাহত বীরভূমে (Birbhum)। বৃহস্পতিবার দিনভর রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত থাকার পর নানুর, ইলামবাজারের মতো এলাকায় শুক্রবার সকালেও জারি অশান্তি। ইলামবাজারে বোমা বাঁধতে দিয়ে হাত উড়ে গেল এক ব্যক্তির। গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভরতি করার কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁর মৃত্যু হয়। অন্যদিকে, নানুরের বন্দর গ্রামে রাতভর চলল বোমাবাজি (Bombing)। বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে হামলার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
রাজ্যে অষ্টম তথা শেষ দফায় বীরভূমে ভোট হয়ে যাওয়ার পরও রাজনৈতিক অশান্তি অব্যাহত। কোথাও বোমাবাজি, কোথাও আবার সেই বোমা বাঁধতে গিয়েই দুর্ঘটনা। বোলপুরের (Bolpur) ইলামবাজার থানার ছোটচক গ্রামে বোমা ফেটে হাত উড়ল এক ব্যক্তির। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল কর্মীরা গ্রামে বোমাবাজি করার জন্য বোমা বাঁধছিল। সেই সময় অসাবধানতায় বোমাটি ফেটে যায় এবং সেই কাজ যে করছিল, তার হাত উড়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। সেখান থেকে বর্ধমানের হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার সময়েই মৃত্যু হয়। যদিও মৃতের নাম, পরিচয় জানা যায়নি এখনও। পুলিশ গোটা ঘটনা অস্বীকার করায় পরিস্থিতি আরও জটিল হচ্ছে। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল কর্মীদের এই অসামাজিক কার্যকলাপ আড়ালের চেষ্টা করছে পুলিশ।
[আরও পডুন: স্ত্রীকে খুনের পর গোয়ালঘরের মাচায় দেহ লোপাট! দুর্গন্ধ ছড়াতেই হাতেনাতে গ্রেপ্তার স্বামী]
অন্যদিকে, নানুর থানার বন্দর গ্রামে বিজেপি কর্মীদের বাড়ি লক্ষ্য করে রাতে ব্যাপক বোমাবাজি করার অভিযোগ ওঠে। তাঁদের বাড়িতে ভাঙচুরও চলে বলে অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সকালে দেখা যায়, ঘরের মধ্যে পড়ে রয়েছে তাজা বোমা। সেসব উদ্ধার করতে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ, বম্ব স্কোয়াড। এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। নির্বাচন মিটলেও নানুর যে রয়েছে নানুরেই, তাও স্পষ্ট। বাড়ছে নিরাপত্তাহীনতা। অপরদিকে, ময়ূরেশ্বরে বিজেপি কর্মীর খড়ের গাদায় আগুন, বাইক ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল।
[আরও পডুন: করোনা আবহে তলানিতে যাত্রী সংখ্যা, ১৯টি ট্রেন বাতিল করল পূর্ব রেল]
বৃহস্পতিবার, ভোটের দিন বীরভূমের এই দুই জায়গা ছিল সবচেয়ে উত্তপ্ত। নানুরে দিনভর ছোটখাটো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পাশাপাশি, বিকেলের দিকে ইলামবাজারে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন বিজেপি হেভিওয়েট প্রার্থী অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর কনভয়ে হামলা, গাড়ি ভাঙচুরে কাঠগড়ায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। সবমিলিয়ে, ভোটের পরও লালমাটিতে অব্যাহত রাজনৈতিক সন্ত্রাস।