shono
Advertisement

প্রধানমন্ত্রীর সভা থেকে ফিরতেই বিজেপি নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি, প্রতিবাদে পথ অবরোধ

বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এই ঘটনা, দাবি তৃণমূলের।
Posted: 09:28 AM Apr 11, 2021Updated: 09:39 AM Apr 11, 2021

বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর: প্রধানমন্ত্রীর সভা থেকে ফেরার পরই আক্রান্ত বিজেপি নেতা। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটে নদিয়ার (Nadia) হাঁসখালি থানার মামজোয়ান এলাকায়। গেরুয়া শিবিরের স্থানীয় নেতাকে প্রথমে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয় বলে অভিযোগ। প্রাণ বাঁচাতে ওই নেতা পালানোর চেষ্টা করলে তাঁকে লক্ষ্য গুলি চালানো হয়। গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভরতি তিনি। এই ঘটনার প্রতিবাদেম রাতেই বগুলা বাজার এলাকায় দীর্ঘক্ষন ধরে পথ অবরোধ করেন বিজেপির (BJP) কর্মী-সমর্থকেরা। দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তারির দাবিতে সরব হন তাঁরা। পরে পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ ওঠে।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জখম ওই বিজেপি নেতার নাম নিত্যানন্দ সরকার ওরফে শুভ। তাঁর বাড়ি মামজোয়ান এলাকাতেই। নিত্যানন্দ বিজেপির মামজোয়ান এলাকার ১৯ নম্বর বুথের সভাপতি। শনিবার প্রধানমন্ত্রীর সভায় গিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকে ফেরার পর রাত সাড়ে আটটা নাগাদ বাড়ির কাছে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়া হয় বলে জানিয়েছেন আক্রান্ত বিজেপি নেতা। যদিও গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। প্রাণ বাঁচাতে তিনি পালানোর চেষ্টা করেন। পরে তাঁকে দুষ্কৃতীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপায় বলে অভিযোগ।  গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে প্রথমে বগুলা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁকে কৃষ্ণনগর জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। পরে তাঁকে কল্যানীর জেএনএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। তাঁর শরীরের একাধিক চোট রয়েছে। এর পর ঘটনাস্থলে আসেন রানাঘাট উত্তর-পূর্বের বিজেপি প্রার্থী অসীম বিশ্বাস ঘটনাস্থলে আসেন। দলীয় কর্মীদের নিয়ে টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করেন। প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা ধরে চলে বিক্ষোভ। পরে পুলিশের আশ্বাসে বিক্ষোভ তুলে নেন তাঁরা। 

[আরও পড়ুন : অবশেষে বাংলায় ভোট প্রচারে আসছেন রাহুল গান্ধী, দোলাচলে প্রিয়াঙ্কা]

ঘটনাপ্রসঙ্গে বিজেপি প্রার্থী অসীম বিশ্বাসের অভিযোগ, “তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ভোটের আগে সন্ত্রাসের পরিবেশ কায়েম করার জন্য আমাদের বুথ সভাপতিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে এবং পরে গুলি চালিয়ে খুন করার চেষ্টা করে।” যদিও ওই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, “স্থানীয় ফেরিঘাটের টেন্ডার নিয়ে দুই সমাজবিরোধী গোষ্ঠীর মধ্যে অশান্তি বেঁধেছিল। তার জেরেই এই ঘটনা। ভোটের আগে আমাদের নামে দোষ দিয়ে রাজনৈতিকভাবে ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করছে বিজেপি।” ওই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

[আরও পড়ুন : তৃণমূল ও বিজেপির মেরুকরণের রাজনীতিতেই রক্তাক্ত ভোটপর্ব, অভিযোগে সরব অধীর-বিমানরা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement