সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঠাকুরনগর নয়, শ্রীধাম ঠাকুরনগর। মতুয়া সম্প্রদায়ের আবেগ উসকে তাঁদের গড় ঠাকুরনগর স্টেশনের নাম বদলের প্রতিশ্রুতি দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। শুক্রবার নদিয়ার তেহট্টে (Tehatta) নির্বাচনী প্রচারে এসে মতুয়াদের মন জয় করতে এমনই ঘোষণা করলেন তিনি। পাশাপাশি, তৃণমূল ক্ষমতায় থাকলে মতুয়াদের নাগরিকত্ব নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকবে বলেও বিঁধলেন অমিত শাহ। ২ মে তৃণমূল সরকারের বিদায় নিশ্চিত বলেও দাবি তাঁর।
বঙ্গের ভোটে এবার বিজেপির বাজি মতুয়া (Motua) সম্প্রদায়। উত্তর ২৪ পরগনা ও নদিয়ার মতুয়া অধ্যুষিত এলাকায় তাই বারবার প্রচারে যাচ্ছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা। শুক্রবার সেই লক্ষ্যেই তেহট্টে নির্বাচনী জনসভা করেছেন অমিত শাহ। সেখানে নেমে প্রথমেই মতুয়া মন্দিরের পুজো দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এরপর জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়েই মতুয়াদের নাগরিকত্বের মতো স্পর্শকাতর ইস্যু উসকে দিয়ে বলেন, ”তৃণমূল ক্ষমতায় থাকলে আপনারা কোনওদিনও নাগরিকত্ব পাবেন না। বিজেপি সরকার ক্ষমতায় এলেই নাগরিকত্ব প্রদানের কাজ দ্রুত হয়ে যাবে।”
[আরও পডুন: করোনা আক্রান্ত করিমপুরের বিজেপি প্রার্থী ঘরবন্দি, দিনরাত স্বামীর হয়ে ভোটপ্রচারে স্ত্রী]
সেইসঙ্গে মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠাতা শ্রীহরিচাঁদ, গুরুচাঁদ ঠাকুরের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁর ঘোষণা, ”বিজেপি ক্ষমতায় এলে ঠাকুরনগর স্টেশনের নাম বদলে হবে শ্রীধাম ঠাকুরনগর। মতুয়া দলপতিদের মাসিক ভাতা ৩ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।” আর এই ঠাকুরনগর স্টেশনের নাম বদল নিয়ে অমিত শাহর ঘোষণার পালটা দিয়ে এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের খোঁচা, নাম হবে ‘মোদিনগর’। এদিন আরও চাঁচাছোলা ভাষায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে আক্রমণ করে অমিত শাহ বলেন, ”২ মে রাজ্য থেকে সিন্ডিকেটরাজ, তোলাবাজি সব বন্ধ হয়ে যাবে। ভাইপোর কল্যাণকারী যা যা হচ্ছিল এতদিন, সেসবের পতন ঘটবে।”
[আরও পডুন: ফের দাবানলের কবলে পুরুলিয়ার দুর্গম পাহাড় চূড়ার জঙ্গল, আগুন নেভাতে বাধা প্রকৃতিই]
তেহট্টের সভা থেকে তৃণমূলের পাশাপাশি কংগ্রেসকেও নিশানা করেন অমিত শাহ। গত ১৪ তারিখ রাজ্যে দুটি জনসভা করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখর ও দার্জিলিংয়ের মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থীদের হয়ে প্রচার করেন। তা নিয়েই অমিত শাহর খোঁচা, ”এত দফা ভোট হয়ে গেল। রাহুল ‘বাবা’র দেখা মেলেনি তখন। এখন উনি পরিযায়ীর মতো এসেছেন বঙ্গে।”