রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: করোনা আবহে রাজ্যে ভারচুয়াল প্রচারে জোর দিচ্ছে বিজেপি। জনসমাগম এড়াতে মঙ্গলবার দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার চারটি জনসভা বাতিল হয়েছে। পরিবর্তে রাজ্য নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। বুঝিয়ে দিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতিতে ভারচুয়াল প্রচারে জোর দেওয়া উচিত।করোনা আবহে প্রধানমন্ত্রীর কোনও সভা বাতিল না হলেও, তা কঠোরভাবে কোভিড (COVID-19) বিধি মেনে করতে হবে।
বিজেপি সূত্রের খবর, কঠোরভাবে কোভিড বিধি মেনেই ভোটের বাংলায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) বাকি চারটি জনসভা হবে। কোনও সভা বাতিল হচ্ছে না বলে খবর। তবে ২২ ও ২৪ এপ্রিলের বদলে ২৩ এপ্রিল একদিনেই ওই চারটি সভা করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। জনসভায় প্রবেশ নিয়ন্ত্রিত করা হচ্ছে। যে সংখ্যক মানুষ আসবেন সভাস্থলে তাঁরা সংক্রমণমুক্ত হলে তবেই মাঠের ভিতরে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (PMO) থেকেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, মোদির বাকি সভাগুলিতে সামাজিক দূরত্ব যাতে মানা হয় সেদিকে বিশেষ নজর দেওয়ার জন্য। রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়ও সোমবার টুইট করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এই নির্দেশের বিষয়টি জানিয়েছেন। সভাস্থলে থাকবে ৫০০ লোক, মঞ্চে থাকবেন তিনজন। তবে, যেটা সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ সেটা হল, এই চার সভা থেকেই রাজ্যের মোট ৬৯ আসনে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য পৌঁছে দিতে চায় গেরুয়া শিবির। আসলে ২৩ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী মালদহ, বোলপুর, কলকাতা এবং মুর্শিদাবাদের একটি কেন্দ্রে সভা করবেন। শেষ দু’দফায় বাকি যে ৬৫ আসনে ভোট হওয়ার কথা সেগুলিতেও মোদির বার্তা পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে গেরুয়া শিবির। সেজন্য নেওয়া হবে ভারচুয়াল মাধ্যমের সাহায্য। যে চার কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী ভাষণ দেবেন সেগুলি বাদে বাকি ৬৫ আসনে ভারচুয়ালি শোনানো হবে মোদির বক্তব্য। ওই বিধানসভাগুলির বিভিন্ন জায়গায় বসানো হবে এলইডি স্ক্রিন। মোবাইলেও প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ শুনতে উৎসাহ দেওয়া হবে ভোটারদের। সোশ্যাল মিডিয়া বা টিভি চ্যানেলের মাধ্যমে যাতে সকলে প্রধানমন্ত্রীর সভা শোনেন সেই ব্যবস্থা করা হবে। অর্থাৎ, যাঁরা মাঠে আসতে পারবেন না তাঁদের প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ভারচুয়ালি শুনতে হবে।
[আরও পড়ুন: করোনা ভ্যাকসিন বণ্টন নীতি নিয়ে এবার কেন্দ্রকে তুলোধোনা, ফের মোদিকে চিঠি মমতার]
করোনা পরিস্থিতির জেরে বিজেপি (BJP) কি তাদের প্রচারে কি রাশ টানবে? এই প্রশ্ন উঠছিল রাজনৈতিক মহলে। রাজ্যে প্রধানমন্ত্রীর বাকি সভাগুলির ক্ষেত্রে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তা নিয়েও চলছিল জল্পনা। কারণ, প্রধানমন্ত্রীর যেমন চারটি সভা রয়েছে। আবার আগামী কয়েকদিন কলকাতা-সহ ভোট বাকি থাকা বিধানসভা কেন্দ্রগুলিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডারও (JP Nadda) একাধিক কর্মসূচি রয়েছে। বিজেপি ঠিক করেছে, আর কোনও বড় সভা নয়। আগামী কয়েকদিন সর্বত্রই ছোট ছোট সভা করারই সিদ্ধান্ত নিয়েছে গেরুয়া শিবির। খোলা জায়গায় সভা করতে হবে। সর্বত্রই জনসমাগমে রাশ টানা হবে।