ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: সংসদে হামলার ঘটনার জের। বিধানসভার নিরাপত্তা নিয়ে মঙ্গলবারও বৈঠকে বসেছিলেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই বেশকিছু নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিধানসভায় নিরাপত্তা সংক্রান্ত বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে মন্ত্রী, বিধায়ক, বিরোধী দলনেতার ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীদের বসার জন্য আলাদা জায়গা করা হচ্ছে। সর্বদল বৈঠকে এনিয়ে আলোচনা হবে বলেও জানিয়েছেন স্পিকার। তবে বিধানসভার এই সিদ্ধান্ত সব দলকে জানিয়ে দেওয়া হবে। পাশাপাশি পুলিশকেও বলা হয়েছে বিধানসভায় বাহিনী বৃদ্ধি করা হোক।
[আরও পড়ুন: ED at Aranya Bhawan: রেশন দুর্নীতির তদন্তে অরণ্যভবনে ইডি হানা, বনদপ্তরের অফিস ঘিরল কেন্দ্রীয় বাহিনী]
আগামী ২২-২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিধানসভায় পাঁচদিনের পুষ্প প্রদর্শনী হতে চলেছে বিধানসভায়। সেখানে ব্যারিকেডের ব্যবস্থা করা হবে বলে খবর। তাতে অংশগ্রহণকারীদের বিশেষ পরিচয়পত্র দেওয়ার পাশাপাশি প্রদর্শনীর সময় যাতে বহিরাগত কারও জন্য বিধানসভার নিরাপত্তা বিঘ্নিত না হয়, তার জন্য কড়া নজরদারির বন্দোবস্ত হচ্ছে বিধানসভায়।
এদিকে বিধানসভার নিরাপত্তা নিয়ে সতর্ক লালবাজারও। কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল জানান, বিধানসভার নিরাপত্তায় আমরা সবসময় কড়া নজর রাখি। রিভিউ করা হয়। পরিস্থিতির দিকে কড়া নজর রাখছি। আমাদের স্পেশাল ব্রাঞ্চ থেকে রিজার্ভ ফোর্স, স্থানীয় পুলিশের সঙ্গে নিয়মিত সমন্বয় রেখে কাজ করে। তবে যে কোনও নতুন ঘটনা আমাদের অনেক কিছু শেখায়।”
প্রসঙ্গত, সংসদে হামলার জেরে নতুন করে পরিবর্তিত পরিস্থিতির মধ্যে বিধানসভার নিরাপত্তা নিয়ে একাধিক আলাদা বন্দোবস্তের নির্দেশ সদ্য দিয়েছেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভার এই প্রদর্শনীতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আমজনতারও প্রবেশাধিকার থাকে। তার জন্য আকাশবাণীর উলটোদিকে তিন নম্বর ফটক খোলা থাকে। এই প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণকারী বা আমজনতা, যাঁরাই এই কদিন আসেন, বিধানসভার ক্ষেত্রে তাঁরা প্রত্যেকেই বহিরাগত। সে কথা মাথায় রেখে এবার গোটা প্রদর্শনীপর্বই থাকবে কড়া প্রশাসনিক নজরদারিতে।