শুভঙ্কর বসু: রাত পোহালেই রাজ্যে ভোট ষষ্ঠী। আর এই দফায় সকলের নজরে আটকে বারাকপুরে। উনিশের লোকসভা নির্বাচনের সময় থেকে ভোটের সময় অশান্তিতে উত্তাল হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার এই এলাকা। তাই এবারের উত্তপ্ত আবহে এই এলাকাকে নিয়ে বিশেষ সতর্ক নির্বাচন কমিশন (Election Commission)।
ভোটের মাত্র ২৪ ঘণ্টা ব্যারাকপুরের জন্য অতিরিক্ত আরও ১ জন পুলিশ পর্যবেক্ষক (Special Police Observer) নিয়োগ করল কমিশন। তিনি শুধুমাত্র বারাকপুরের ঘটনা নিয়ে কমিশনকে রিপোর্ট দেবেন। উল্লেখ্য, এ বারের ভোটে ১ জন পুলিশ পর্যবেক্ষককে দুই বা তার বেশি বিধানসভার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন : ‘আমার সব প্রশ্নের উত্তর দিন, কংগ্রেসের হয়ে ভোট চাইব না’, মমতাকে চ্যালেঞ্জ অধীরের]
শান্তিপূর্ণ ভোট করাতে এবার বদ্ধপরিকর নির্বাচন কমিশন। তাই বিশাল বাহিনী মোতায়েন থেকে ওয়েব কাস্টিং, কিউআরটি টিমের সংখ্যা বৃদ্ধি থেকে একাধিক পুলিশ পর্যবেক্ষক নিয়োগ, একাধিক পদক্ষেপ করেছে নির্বাচন কমিশন। ভোটষষ্ঠী নির্বিঘ্নে মেটাতে বিশেষ ব্যবস্থা নিল কমিশন। এই দফার ভোটে কয়েকটি এলাকাকে ‘বিশেষ তালিকাভুক্ত’ করেছে কমিশন। ভোটের দিন এই এলাকাগুলিতে অশান্তির আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করছে তারা। এর মধ্যে বেশির ভাগই উত্তর ২৪ পরগনা শিল্পাঞ্চলের অন্তর্গত এলাকা।
এদিন চার জেলার ৪৩ আসনে ভোটগ্রহণ। তার আগে মঙ্গলবার জেলাগুলির জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারদের সঙ্গে বৈঠক সারেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব। ওই বৈঠকই কয়েকটি আসনকে ‘বিশেষ তালিকাভুক্ত’ করা হয়। সেই তালিকায় নাম রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার বারাকপুরে, ভাটপাড়া, জগদ্দল, বীজপুর, স্বরূপনগর, আমডাঙা। রয়েছে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া, ইসলামপুর। এছাড়া তালিকায় রয়েছে পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোট, কেতুগ্রাম, ভাতার। নদিয়ার করিমপুর, নাকাশিপাড়ার মতো আসনগুলির নামও রয়েছে তালিকায়। সেখানে অতিরিক্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের পাশাপাশি পর্যবেক্ষক সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। শুধুমাত্র ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলেই ১০৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করেছে কমিশন। উল্লেখ্য, বুধবার সকালেই টিটাগড়ে বিস্ফোরণ হয়। মৃত্যু হয়েছে একজনের। এই ঘটনা নিয়ে রিপোর্ট চেয়েছে কমিশন। এমনকী, ভাটপাড়া এলাকা থেকেও বোমাবাজির খবর মিলেছে। এর মাঝেই শান্তিতে ভোট করানো কমিশনের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।