বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: রাজ্যে ক্ষমতাসীন নেতৃত্ব গোটা বাংলায় সংগঠনকে শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করাতে ব্যর্থ। তাই মণ্ডল ও জেলাস্তর পর্যন্ত সংগঠনে ব্যাপক রদবদল করার নির্দেশ অমিত শাহ-জেপি নাড্ডাদের (JP Nadda)। রাজ্যস্তরেও নেতৃত্বে রদবদল করা হবে। তবে রাজ্য নেতৃত্বে রদবদলের সিদ্ধান্ত তাঁরাই নেবেন। দ্রুত মণ্ডল ও জেলাস্তরে রদবদল সম্পূর্ণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
সোম ও মঙ্গলবার দু’দফায় শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ও সুকান্ত মজুমদারদের (Sukanta Majumdar) সঙ্গে বৈঠক করেন অমিত শাহ, জে পি নাড্ডা, বিএল সন্তোষ, সুনীল বনশল ও মঙ্গল পাণ্ডেরা। সংঘ পরিবারের নেতৃত্বের সঙ্গে একদফা বৈঠক হয়। তবে শাহদের সঙ্গে বৈঠকে সংগঠন নিয়ে আলোচনা হয়নি বলে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দাবি করলেও রদবদল যে হচ্ছে তা স্বীকার করে জানান, “রাজ্যস্তরে রদবদল হতে পারে।”
গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, লোকসভা নির্বাচনের লক্ষ্যে ২৯ জুলাই থেকে ‘মিশন বাংলা’ নামে আটমাসের ‘রোডম্যাপ’ চূড়ান্ত করেছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। ওইদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর হুগলি থেকে ‘মিশন বাংলার’ সূচনা করবেন। এছাড়াও ৩১ জুলাই সংসদে এনডিএ সাংসদরে বৈঠক ডাকা হয়েছে। বৈঠকে বাংলার সব বিজেপি সাংসদকে বাধ্যতামূলক উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন জে পি নাড্ডা।
[আরও পড়ুন: নিউটাউনে জন্মদিনের পার্টিতে ডেকে রিসেপশনিস্টের শ্লীলতাহানি! কাঠগড়ায় জিম ট্রেনার]
সংগঠন এতটাই দুর্বল যে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বঙ্গে ১ হাজার ছোট বড় সভা করার লক্ষ্যমাত্রা বেধে দিলেও ১০০ টপকাতে ব্যর্থ রাজ্যের গেরুয়া নেতৃত্ব। তারপর গোষ্ঠীকোন্দলে জর্জরিত গোটা দল। এমন পরিস্থিতিতে একদিকে লোকসভায় ৩৫ আসন জয়ের লক্ষ্যমাত্রা বেধে দেওয়ায় বিপাকে শুভেন্দু-সুকান্তরা। এহেন পরিস্থিতিতে ভোটের আটমাস আগেই কড়া ভূমিকায় শাহ-নাড্ডারা। বৈঠকে আগামী আটমাসের ‘রোডম্যাপ’ তৈরি করে দেন। রোডম্যাপ অনুযায়ী চলতি মাস থেকেই ঝাঁপাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। ২৯ জুলাই কামারপুকুর- জয়রামবাটিতে পুজো দিয়ে অনুরাগ ঠাকুর (Anurag Thakur) ‘মিশন বাংলা’র সূচনা করবেন। ওইদিন থেকে ধাপে ধাপে প্রতিটি ব্লকে পঞ্চায়েতে বিজেপি প্রার্থীদের সংবর্ধনা দেওয়া হবে। প্রতিটি ব্লকে একজন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী হাজির থাকবেন বলে ‘রোডম্যাপ’-এ উল্লেখ করা হয়।
[আরও পড়ুন: ‘অসুস্থ হলে ইস্তফা দিন’, পূর্ব বর্ধমানের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যানকে ছুটিতে পাঠাল হাই কোর্ট]
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার গভীর রাত পর্যন্ত চলা শুভেন্দু, সুকান্তদের সঙ্গে অমিত শাহ (Amit Shah), জেপি নাড্ডা এবং সন্তোষদের বৈঠকে রাজে্যর ৪২টি লোকসভা আসন ধরে ধরে আলোচনা করা হয়। প্রতিটি আসনের জন্য আলাদা আলাদা রণকৌশল নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বাংলায় অমিত শাহ ছাড়াও প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বিশেষ দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানা গিয়েছে। সংসদের অধিবেশন শেষ হলেই নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) মন্ত্রিসভার এই দুই হেভিওয়েট মন্ত্রী রাজ্যে যাবেন। বৈঠকে দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়নি।