রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: সিপিএমের যুব সংগঠনের ব্রিগেড সমাবেশে জনসমাগম দেখে চাপে বঙ্গ বিজেপি। মুখে বিজেপি নেতারা এই ব্রিগেড সমাবেশকে গুরুত্ব দিতে চাননি। তাদের বক্তব্য, বামেদের সমাবেশে লোক হলেও ভোট নেই। কিন্তু গেরুয়া শিবিরের অন্দরে অবশ্য অন্য কথা শোনা যাচ্ছে। সিপিএমের যুব সংগঠনের ব্রিগেড দেখে চিন্তায় পদ্ম শিবির। বিষয়টি দলীয় বৈঠকেও কেন্দ্রীয় নেতারা তুলেছেন বলে খবর।
কারণ, লোক না হওয়ার আশঙ্কায় গত ২৪ ডিসেম্বর ব্রিগেডে গীতাপাঠের আসরে আসেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। রাজ্য বিজেপি নেতারাই প্রধানমন্ত্রীকে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। তার আগে ধর্মতলায় ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর (Amit Shah) সভাও কার্যত ফ্লপ করেছিল। মুখ পুড়েছিল বঙ্গ বিজেপির। তাই বাম যুবদের ব্রিগেডে সভার জনসমাগমে দলের কর্মী-সমর্থকদের উদ্বিগ্ন হতে বারণ করেছে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। দলীয় সূত্রে এমনটাই খবর। কিন্তু বিজেপির অন্দরে চর্চা যে, যে দলটা লোকসভা-বিধানসভায় শূন্য, সেই সিপিএমের যুব সংগঠনের ডাকা ব্রিগেডে ভালো জনসমাগম হল কী করে? এই অঙ্কের উত্তর কিছুতেই মেলাতে পারছে একুশের বিধানসভায় বাম ভোটে ভাগ বসানো বিজেপি নেতারা। এটা নিয়ে দলীয় বৈঠকেও আলোচনা হয়েছে বলে খবর।
[আরও পড়ুন: ‘দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে মাথা কেটে ফেলব’, অন্তরাল থেকে বার্তা সন্দেশখালির শাহজাহানের]
কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও জানতে চেয়েছে রাজ্য বিজেপি নেতাদের কাছে যে, সিপিএমের যুব সংগঠনের ডাকে ব্রিগেডে এত ভিড় কি করে হল? যারা ব্রিগেডে এসেছিল তারা বাম থেকে রামে আসা লোকজন নয় তো? বিজেপির কোনও সমর্থক কি গিয়েছিল ব্রিগেডে? বিধানসভাভিত্তিক রিপোর্ট চেয়েছে কেন্দ্রীয় নেতারা। ফলে বিজেপির অন্দরে জমেছে আশঙ্কার মেঘ।
[আরও পড়ুন: ‘নেতা ও পুলিশের সাহায্যে পালিয়েছেন শাহজাহান’, অবিলম্বে গ্রেপ্তারির নির্দেশ রাজ্যপালের]
এদিকে, এদিনের বৈঠকে বর্ধিতভাবে লোকসভা নির্বাচনের জন্য আরেকটি কমিটি হয়েছে বলে খবর। দলের সাংসদ-বিধায়ক-সহ সেই কমিটিতে ১০১ জন রয়েছেন। এদিনের বৈঠকে লোকসভার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে বঙ্গ বিজেপি। কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনসল, মঙ্গল পাণ্ডে, অমিত মালব্যদের উপস্থিতিতে বৈঠকে ঠিক হয়েছে, এখন থেকেই দেওয়াল লেখা শুরু করতে হবে। ১২, ২৩ ও ২৮ তারিখ সব বুথে অনুষ্ঠান করতে হবে। ২৮ জানুয়ারি রাজ্যের সমস্ত বুথে হবে ‘মন কি বাত’। ১৪ জানুয়ারি অর্থাৎ মকর সংক্রান্তি দিন সেবার কাজ করতে হবে। ৪২টি লোকসভা কেন্দ্রের কমিটির সদস্য কারা হবেন, তাঁদের নাম জমা দিতে হবে ১৬ জানুয়ারির মধ্যে। বিধানসভা ভিত্তিক কমিটি জমা দিতে হবে ২২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে।