স্টাফ রিপোর্টার ও নিজস্ব সংবাদদাতা, বহরমপুর: ভোট শেষ, জোট শেষ। সাফ জানিয়েছিল সিপিএম (CPM)। এবার কংগ্রেসকেও তা স্পষ্ট করে দিল আলিমুদ্দিন। শান্তিপুরে কংগ্রেস প্রার্থী দিলেও তারাও লড়াইয়ে থাকবেন বলে প্রদেশ সভাপতিকে জানিয়ে দিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু (Biman Bose)। তাঁরাও প্রার্থী দেবেন বলে বিমানকে জানান অধীর চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)। তবে বাকি তিন কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থী দেবেন না বলে জানিয়েছেন প্রদেশ সভাপতি।
বিধানসভা ভোটে সংযুক্ত মোর্চা ছিল নির্বাচনী জোট। নির্বাচন শেষ হয়েছে। তাই জোটের প্রয়োজন নেই। স্পষ্ট করে দেন সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি (Sitaram Yechury)। সীতার ঘোষণায় ক্ষুব্ধ কংগ্রেস। মোর্চা ভাঙার দায় আলিমুদ্দিনের ঘাড়ে চাপিয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। কংগ্রেসের সঙ্গে কথা না বলেই সোমবার রাজ্যের চারটি কেন্দ্রের উপনির্বাচনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে বামফ্রন্ট। কিন্তু বিমান বসুর একটি ফোন ফের জোট জল্পনা উসকে দিল।
[আরও পড়ুন: রাজ্য সরকারের আরজি মানলেন রাজ্যপাল, বিধায়ক পদে মমতার শপথগ্রহণ হবে বিধানসভাতেই]
অধীরের দাবি বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান তাঁকে ফোন করেন। চারটি উপনির্বাচনে কি হবে তা জানতে চান। এদিন অধীর চৌধুরী বলেন, সামশেরগঞ্জে একা লড়তে চেয়েছিল কংগ্রেস (Congress)। জোট ভাঙ্গার পক্ষে নন বলে জানিয়ে দেন প্রদেশ সভাপতি। তাই শান্তিপুরে ভাল প্রার্থী পেলে কংগ্রেস লড়তে চায়। কেন না ওই চারটি আসনে জোটের ফর্মুলায় তিনটিতে বামেরা লড়েছিল আর কংগ্রেস লড়েছিল শান্তিপুরে। ফলে শান্তিপুর ছাড়া বাকি আসনে লড়তেই পারে বামেরা। কংগ্রেসের কোনও আপত্তি থাকবে না বলে জানান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। বস্তুত, সিপিএম (CPIM) না চাইলেও উপনির্বাচনে জোট করে লড়াইয়ের পক্ষে কংগ্রেস। কারণ শান্তিপুর ছাড়া বাকি তিন কেন্দ্রে প্রার্থী খুঁজে পাচ্ছেনা তাঁরা।
[আরও পড়ুন: রাজ্য সরকারের দেওয়া নিরাপত্তা ছেড়ে দিচ্ছেন দিলীপ ঘোষ, চিঠি স্বরাষ্ট্রদপ্তরকে]
এদিকে মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাস্তা ও ব্রিজ মেরামতের আবেদন জানিয়ে চিঠি পাঠান অধীর। কান্দি মহকুমার গাতলাঘাট ব্রিজ এবং রণগ্রাম ব্রিজের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার আবেদন করেন তিনি।