সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: রাজনীতি রাজনীতির স্থানে। তবে সৌজন্য বোধ এতটুকু কমেনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) মধ্যে। প্রতি বছরের মতো এবারও তাই বাংলার বিখ্যাত আম প্রধানমন্ত্রীর বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে আমরসিকদের জন্য রাজধানী দিল্লিতে শুরু হল ‘আম মেলা’। যার পোশাকি নাম বেঙ্গল ম্যাঙ্গো মেলা।
বাংলার সুস্বাদু আম প্রতি বছরই পৌঁছে যায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। শুধু দেশেই নয়, ভারতের বাইরেও আম রপ্তানিতে অনেকটাই এগিয়ে বাংলা। এ রাজ্যের আম রস থেকে বঞ্চিত হন না প্রধানমন্ত্রীও। বিগত বছরগুলির মতো এবারও রাজ্য সরকারের তরফে মোদির (PM Modi) কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে আম। এছাড়াও রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের পাশাপাশি মন্ত্রিসভার ১৮ জনের কাছে আম পাঠানো হচ্ছে। হিমসাগর, ল্যাংরা, আম্রপালী এবং লক্ষ্মণভোগ- এই চার রকমের আম যাচ্ছে তাঁদের কাছে।
[আরও পড়ুন: নূপুর শর্মাকে ‘হুমকি’, দিল্লি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার ভীম সেনা প্রধান]
করোনা আবহে (Corona Pandemic) গত দু’বছর দিল্লিতে আম মেলা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তবে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকায় এবার ফের আমের পসরা সেজেছে। হিমসাগর, ল্যাংরা ইত্যাদি ছাড়াও মুর্শিদাবাদ থেকে নবাব সিরাজউদ্দৌল্লার প্রিয় কোহিতুর আমও এসেছে এই মেলায়। এই প্রজাতির এক কেজি আমের দাম ১২০০ টাকা! অনেক সময় একটি আম বিক্রি হয় ৪০০ থেকে ৫০০ টাকাতেও।
দিল্লিতে এমনিতেই আমের মূল্য আকাশ ছোঁয়া। মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরেও। তাছাড়া সব জায়গায় বিশেষ বিক্রিও হয় না। কিন্তু আমের মরশুমে ফলের রাজার স্বাদ থেকে কি বঞ্চিত রাখা যায় বাঙালিকে? তাঁদের কথা ভেবেই প্রতিবার আমের মেলা আয়োজিত হয়ে থাকে। দু’বছর পর ফের স্বমহিমায় সেই মেলা ফিরে পেয়ে খুশি আমজনতাও। আগামী ১৫ জুলাই পর্যন্ত চলবে মেলা। আম বিক্রির পাশাপাশি প্রত্যেক শনিবার হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও।