সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পূর্ব মেদিনীপুরের ৯, পশ্চিম মেদিনীপুরের ৯, বাঁকুড়ার ৮ এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার ৪ আসনে হচ্ছে দ্বিতীয় দফার ভোট (West Bengal Election)। অবশ্য গোটা বঙ্গের নজর নন্দীগ্রামে (Nandigram)। একদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee), অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ-পালটা অভিযোগও হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতেই তৃণমূল কংগ্রেসকে বিঁধে ছবি পোস্ট করলেন চুঁচুড়া (Chunchura) কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়। অন্যদিকে আবার মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে টুইট করলেন বেহালা পূর্বের (Behala Purba) বিজেপি প্রার্থী পায়েল সরকার।
১০ এপ্রিল অর্থাৎ চতুর্থ দফায় লকেটের (Locket Chatterjee) চুঁচুড়া কেন্দ্রে ভোট। তবে বৃহস্পতিবারের ভোটের একটি ছবি তিনি পোস্ট করেছেন নিজের টুইটার (Twitter) প্রোফাইলে। কোনও একটি বুথের বাইরে তৃণমূল এজেন্টদের বসার জায়গা দেখা যাচ্ছে। কেউ নেই সেখানে। শুধু ঘাসফুল শিবিরের পতাকা দেখা যাচ্ছে। “এবার সোনার বাংলা এবার বিজেপি” (Ebar Sonar Bangla Ebar BJP) হ্যাশট্যাগ দিয়ে ছবির ক্যাপশনে লকেট লিখেছেন, “সকালের কয়েক ঘন্টার মধ্যেই খেলা শেষ।”
[আরও পড়ুন: মন্দিরে ভিক্ষুকদের অর্থসাহায্য, সায়ন্তিকার বিরুদ্ধে বিধিভঙ্গের অভিযোগ বিজেপির]
১০ এপ্রিলই বেহালা পূর্ব কেন্দ্রের ভোট। চর্চিত এই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী পায়েল সরকার (BJP Candidate Paayel Sarkar)। ভোট শুরু হওয়ার আগেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন তিনি। নিজের প্রোফাইলে তিনটি ছবির কোলাজ ব্যবহার করেছেন তিনি। যেখানে একটিতে হতাশ হয়ে একজনকে বসে থাকতে দেখা যাচ্ছে। সেখানে লেখা ‘পিসি’। ছবিটির ক্যাপশনে আবার নায়িকা লিখেছেন, “২০২১-এ ভোটারদের অপেক্ষায় বসে থাকা পিসি।”
উল্লেখ্য, তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া শোভন চট্টোপাধ্যায়ের গড় হিসেবেই পরিচিত পায়েলের বেহালা-পূর্ব কেন্দ্রটি। প্রার্থী হিসেবে পায়েলের নাম ঘোষণা হওয়ার পরই গোঁসা করে বিজেপির সঙ্গ ত্যাগের কথা জানিয়েছিলেন শোভনবাবু এবং তাঁর বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও তাঁদের বিজেপি ছাড়ার আবেদন মঞ্জুর হয়নি বলেই শোনা গিয়েছে। অন্যদিকে এই কেন্দ্রেই পায়েলের বিপরীতে তৃণমূল প্রার্থী (TMC Candidate) হিসেবে রয়েছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়। কঠিন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে প্রচারের জন্য রাস্তায় ইতিমধ্যেই নেমে পড়েছেন বিজেপির তারকা প্রার্থী। পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াতেও প্রতিপক্ষ দলের সুপ্রিমোকে কটাক্ষ করতে ছাড়ছেন না।