বাবুল হক, মালদহ: মালদহের মানিকচকে কংগ্রেস সাংসদ এবং কংগ্রেস (Congress) প্রার্থীকে মারধর ও তাঁদের গাড়িতে হামলা ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে। তৃণমূলের পতাকা হাতে কিছু লোক হামলা চালায় বলে অভিযোগ করা হয়েছে কংগ্রেসের তরফে। ঘটনাস্থল থেকে কোনওক্রমে বেরিয়ে ইংরেজবাজার থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন সাংসদ। নির্বাচন কমিশনেও অভিযোগ জানানো হবে। তবে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলেও সব অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে শাসকদলের তরফে।
মানিকচক বিধানসভায় ইংরেজবাজার থানা এলাকায় ভোটের (West Bengal Assembly Election 2021) প্রস্তুতি হিসাবে কর্মিসভায় গিয়েছিলেন দক্ষিণ মালদহের কংগ্রেস সাংসদ তথা দলের জেলা সভাপতি আবু হাসেম খান চৌধুরী ওরফে ডালুবাবু। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিদায়ী বিধায়ক তথা মানিকচকের কংগ্রেস প্রার্থী মোত্তাকিন আলমও। অভিযোগ ইংরেজবাজার থানা এলাকার ফুলবাড়িয়া গ্রামপঞ্চায়েতের পূর্ব নঘরিয়া গ্রামে কংগ্রেস নেতারা পৌঁছতেই তাঁদের গাড়িতে হামলা চালানো হয়। গাড়ির ভিতর থেকে সেই ঘটনা ক্যামেরাবন্দিও করেন কংগ্রেস নেতারা। সেখানেই দেখা যাচ্ছে এক দল লোক পতাকা মোড়া লাঠি নিয়ে গাড়িতে হামলা করছে। কংগ্রেস নেতাদের অভিযোগ, তাঁদের প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা হচ্ছিল। বিধায়ককে টেনে গাড়ি থেকে নামানোর চেষ্টা হয়। নিরাপত্তা কর্মীরা কোনওরকমে তাঁদের ঘটনাস্থল থেকে বার করে নিয়ে যান।
[আরও পড়ুন: ‘এটা গণহত্যা’, শীতলকুচির ঘটনার তীব্র নিন্দা করে মৃতদের পরিবারকে সাহায্যের আশ্বাস মমতার]
আবু হাসেম খান চৌধুরী অভিযোগ করেন, “এখন জোর যার মুলুক তার অবস্থা চলছে রাজ্যে।” মোত্তাকিন আলম সরাসরি অভিযোগ করেন, “এই হামলার পিছনে তৃণমূলের হাত রয়েছে।” এই ঘটনার প্রতিবাদে জেলাজুড়ে বিক্ষোভ হবে বলে জানিয়েছে মালদহ কংগ্রেস।
কংগ্রেসের অভিযোগ, এই হামলার নেতৃত্ব দেন স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী শেখ জাহিদুল। যদিও তৃণমূলের তরফে অভিযোগ অস্বীকার করে বলা হয়, এই হামলার সঙ্গে তাদের কোনও যোগ নেই। ২০১৬ সালের বিধায়ক নির্বাচিত হওয়ার পর মোত্তাকিন আলম প্রথমবার এই এলাকায় আসেন। তাই সাধারণ মানুষ হয়তো নিজেদের ক্ষোভ উগরে দেন।