শুভঙ্কর বসু: কোভিড (COVID-19) আবহে বঙ্গে ৮ দফা নির্বাচন নিয়ে আরও কড়া হল নির্বাচন কমিশন। অতিমারী আইনের ৫১ থেকে ৬০ নং ধারা এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৮৮ ধারা এবার চূড়ান্তভাবে কার্যকর করার জন্য জেলা প্রশাসনগুলিতে নির্দেশ দিল কমিশন। এই আইন লঙ্ঘন করলে কারাবাস এবং মোটা অঙ্কের জরিমানা হবে। করোনা আবহে ভোটপ্রচারে সংক্রমণ রুখতে এই আইন যথেষ্ট জোরের সঙ্গে লাগু করতে হবে জেলা প্রশাসনগুলিকে। শুক্রবার ভিডিও কনফারেন্সে বাকি দু’দফায় যেসব জেলায় ভোট রয়েছে, সেই সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনগুলির বৈঠকে করে একথা কড়াভাবে জানিয়ে দিয়েছে কমিশন। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই ১৩ জন প্রার্থীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
বঙ্গের ভোটে কেন করোনা (Coronavirus) বিধি যথাযথভাবে মেনে চলা হচ্ছে না? এ বিষয়ে কমিশন কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে? কেনই বা সর্বোচ্চ ক্ষমতা প্রয়োগ না করে স্রেফ বিজ্ঞপ্তি জারি করে দায়সারা কাজ করেছে? এসব নিয়ে বৃহস্পতিবার কলকাতা হাই কোর্টে তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয় দিল্লি নির্বাচন কমিশনকে (Election Commission)। এরপরই শুক্রবার বিকেলে রাজ্য নির্বাচন আধিকারিক এবং জেলা প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে জরুরি বৈঠকের ডাক দেওয়া হয় কমিশনের তরফে।সূ্ত্রের খবর, ভিডিও বৈঠকে প্রথমেই জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের কাছে কমিশনের কর্তারা জানতে চান, পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন শুরু হওয়ার আগে অতিমারী আইন কঠোরভাবে লাগু করার জন্য যে নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছিল, তা কেন লাগু করা হয়নি? সেই কারণেই আদালতে কমিশনকে ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয়েছে বলেও মন্তব্য তাঁদের। এই প্রশ্নও তোলা হয়, হাই কোর্টকে কেন হস্তক্ষেপ করতে হচ্ছে?
[আরও পড়ুন: করোনা সংক্রমণে লাগাম নেই বঙ্গে, একদিনে নতুন করে আক্রান্ত প্রায় ১৩ হাজার]
এরপর কমিশনের কর্তারা জানান, করোনা বিধি না মানলে সেই প্রার্থীর বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসন যেন অবশ্যই এফআইআর করে। সেই রিপোর্ট পাঠাতে হবে কমিশনের অফিসে। সূত্রের খবর, মালদহে বিধিভঙ্গের জন্য শোকজ করা হয়েছে ৮ জন প্রার্থীকে। বীরভূমের ৬ জন প্রার্থীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন। এই পরিসংখ্যান দেখে কমিশনের বক্তব্য, শোকজ যথেষ্ট নয়। কঠোরভাবে আইন প্রয়োগ করে শাস্তি দিতে হবে। এছাড়া মালদহে বিজেপি প্রার্থীর উপর হামলার প্রসঙ্গও উঠেছিল বৈঠকে। তাতে কমিশন সন্দেহ প্রকাশ করেছে যে বিভিন্ন স্পর্শকাতর জেলায় ঠিকমতো তল্লাশি চালিয়ে বেআইনি অস্ত্র উদ্ধার করা হচ্ছে। এ বিষয়ে প্রশাসনকে আরও কঠোরভাবে অভিযান চালানোরও নির্দেশ দিয়েছেন কমিশনের কর্তারা। এ প্রসঙ্গে তাঁরা মালদহ, মুর্শিদাবাদ, কলকাতা, বীরভূমের নাম উল্লেখ করেছেন তাঁরা।