দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: ভোট পরবর্তী সময় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর সামনে আসছে। কোথাও খুন করা হচ্ছে রাজনৈতিক কর্মীদের তো কোথাও আবার বাড়ি ছাড়া করা হচ্ছে তাঁদের। এমন পরিস্থিতি রাজ্যে শান্তি বজায় রাখার বার্তা দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরেও রক্ত ঝড়ল বাংলার মাটিতে। তারকেশ্বরে খুন হলেন তাঁরই দলের এক কর্মী। জখম আরও চার তৃণমূল কর্মী।। নিহত কর্মীর পরিবারের নিশানায় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা।
মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে তারকেশ্বরের চৌতারা এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, এলাকায় একটি মাচা ছিল। সেই মাচায় বিজেপি কর্মীরা বসে আড্ডা মারতেন। সোমবার রাতে কে বা কারা ওই মাচা পুড়িয়ে দেয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সকাল থেকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। নিহত ওই তৃণমূল কর্মীর নাম গোপাল পাত্র(৪২)।
[আরও পড়ুন : ভোটপর্ব মিটতেই রাজ্যে উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে তৎপরতা, ৩ মাসের মধ্যেই নিয়োগ]
এদিন দুপুরে স্থানীয় তৃণমূল কর্মী গোপাল পাত্র-সহ আরও বেশ কয়েকজন চৌতারা এলাকা দিয়ে যাচ্ছিল। তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা লাঠি-রড নিয়ে তৃণমূল কর্মীদের উপর হামলা চালায়। বেধড়ক মারে গোপাল পাত্র ঘটনাস্থলেই রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন। দুষ্কৃতীদের মারে আরও কয়েকজন তৃণমূল কর্মী গুরুতর জখম হন। আহতদের প্রথমে ধনেখালি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই গোপালকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
এদিন সন্ধেয় চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে আহতদের দেখতে যান হুগলি জেলা তৃণমূল সভাপতি দিলীপ যাদব। তাঁর অভিযোগ, ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর থেকেই বিজেপি খুনের রাজনীতি শুরু করেছে। বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই দলীয় কর্মী গোপাল পাত্রকে পিটিয়ে খুন করেছে।” এই ঘটনায় তারকেশ্বর থানায় তৃণমূলের পক্ষ থেকে একটি খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে এই ঘটনায় বিজেপি নেতৃত্বর কোনA প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।