কিংশুক প্রামাণিক: ভোটপর্ব শেষ হতেই গণনায় এবার বিশেষ জোর দিচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। যে কায়দায় এবার ভোট হয়েছে, তাতে নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) উপর একেবারেই তাঁর আস্থা নেই। তিনি মনে করছেন, তৃণমূলের বড় জয় সুনিশ্চিত। বিজেপিকে বিশ্বাস নেই। গণনায় কারচুপি করে মানুষের রায় পালটে দেওয়ার শেষ চেষ্টা করতে পারে তারা। তৃণমূল সুপ্রিমোর দাবি, কমিশন তাদের হয়ে গোটা নির্বাচনে কাজ করেছে। তৃণমূল একটি অভিযোগেরও বিচার পায়নি। সেই প্রেক্ষিতে প্রার্থীদের সতর্ক করতে ও প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিতে শুক্রবার ভিডিও কনফারেন্স ডাকলেন মমতা।
রাজ্যের মোট ২৯৪ টি বিধানসভা কেন্দ্রের এবার ২৯১ আসনে প্রার্থী দিয়েছিল তৃণমূল (TMC)। পাহাড়ের দলকে তিনটি আসন ছাড়া হয়। সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুরে দুই প্রার্থীর প্রয়াণে এই দুটি কেন্দ্রে ভোট ১৬ মে হবে। আবার ভোট হওয়ার পরদিনই করোনায় মৃত্যু হয়েছে খড়দহের তৃণমূল প্রার্থী কাজল সিনহার। এসব হিসেব অনুযায়ী ২৮৭ টি কেন্দ্রের প্রার্থীর সঙ্গে তিনি শুক্রবার কালীঘাটের অফিস থেকে ভারচুয়াল বৈঠক করবেন।
[আরও পড়ুন: ‘ভগবান ক্ষমা করবে না’, কোভিড আক্রান্ত হয়ে মোদি সরকার ও কমিশনকে দুষলেন শান্তনু সেন]
বৃহস্পতিবার অষ্টম দফার পর শেষ হয়ে যাচ্ছে প্রায় একমাস ব্যাপী বাংলার ভোটপর্ব। গণনা ২ মে, রবিবার। কমিশনের ভূমিকা স্পষ্ট হওয়ার পর এবার নির্বাচনী প্রচারের শুরু থেকেই মমতা কর্মীদের নানা নির্দেশ দিয়েছেন। তার মধ্যে অন্যতম ইভিএম (EVM) পাহারা। করোনা নিয়ে শেষবেলায় মাদ্রাজ হাই কোর্টে চূড়ান্ত ভর্ৎসনা হওয়ার পর নড়েচড়ে বসেছে কমিশন। এখন গণনার সময় শুরু হয়েছে নানা বিধিনিষেধ। সেসব সামাল দিয়ে কাউন্টিং এজেন্টদের প্রস্তুত করা হচ্ছে। এক তৃণমূল নেতা বলেন, “দুর্জনের ছলের অভাব হয় না। গোটা নির্বাচন পর্বটা কী করে বিজেপিকে সুবিধা করে দিতে হবে, সেই চেষ্টা কমিশন করে গিয়েছে। গণনার সময়ও ওরা চেষ্টা করবে বিজেপিকে জেতানোর। সে সুযোগ আমরা দেব না। কীভাবে আমরা এর মোকাবিলা করব তার চূড়ান্ত রূপরেখা নেত্রী তৈরি করবেন। তিনি প্রার্থীদের বার্তা দেবেন।”