অর্ণব আইচ: পাসপোর্ট জালিয়াতিতে এবার নজরে পাঁচ থানার ভেরিফিকেশন অফিসাররা। হেফাজতে থাকা মনোজ ও আবদুলকে জেরা করে রহস্যের শিকড়ে পৌঁছনোর চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। জাল পাসপোর্ট কারবারিদের সঙ্গে কত টাকা লেনদেন হত জড়িত সরকারি অফিসারদের? জানতে মরিয়া লালবাজার।
বাংলাদেশ অশান্ত হতেই বেড়েছে অনুপ্রবেশের আতঙ্ক। ফলে সীমান্ত এলাকায় নজরদারি বাড়িয়েছে বিএসএফ। এই পরিস্থিতিতে প্রকাশ্যে এসেছে পাসপোর্ট জালিয়াতি চক্রের রমরমা। একজনকে গ্রেপ্তার করতেই হদিশ মিলেছে একাধিক অভিযুক্তের। রহস্যভেদে মরিয়া পুলিশ। তদন্তকারীদের ধারণা ছিল, এই জালিয়াতির নেপথ্যে থাকতে পারেন পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্রের ভেরিফাইং এবং গ্রান্টিং অফিসারদের একাংশ। সেই কারণে আগেই চিঠি দিয়ে রাজ্যের পাঁচ পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্রের ভেরিফাইং অফিসার ও গ্রান্টিং অফিসারদের নামের তালিকা চেয়েছিল লালবাজার। এবার নজরে দুই ডিভিশনের পাঁচ থানার ভেরিফিকেশন অফিসাররা অর্থাৎ ভেরিফিকেশনের দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মীরা।
পাসপোর্ট কাণ্ডে ধৃত মনোজ, সমরেশদের জেরায় একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, মূলত বিজোড় সংখ্যার পাসপোর্ট থানায় পাঠানো হয়। কিন্তু এক্ষেত্রেও কারসাজি হয়েছে বলে অভিযোগ। জোড় ও বিজোড় দুটো সংখ্যার পাসপোর্ট থানায় গিয়েছে। সূত্রের খবর, ৫২ টি পাসপোর্টের ভেরিফিকেশন করেছিলেন প্রাক্তন এসআই আবদুল হাই। বাকি ১০০ পাসপোর্ট থানায় পাঠানো হয়েছিল ভেরিফিকেশনের জন্য। তদন্তকারীদের অনুমান, আবদুল হাইয়ের মাধ্যমেই থানাস্তরে পুলিশ কর্মীর সঙ্গে যোগাযোগ করছিলেন পাসপোর্ট জালিয়াতি চক্রের মাথারা। মোটা টাকার লেনদেন হয়েছে বলে অনুমান। সেই সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য পেতে মরিয়া লালবাজার।