সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোটের (West Bengal Assembly Election) সকাল থেকেই উত্তপ্ত রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা। একই পরিস্থিতি উত্তর ২৪ পরগনার অন্তর্গত হাবড়ায়। সকাল থেকেই বিজেপির বিরুদ্ধে বুথ দখলের অভিযোগ করেন তৃণমূল প্রার্থী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। সংখ্যালঘু মহিলা ভোটারদের ভয় দেখানোর অভিযোগ তোলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। ভোটের দায়িত্বপ্রাপ্ত জওয়ানদের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন বচসায়। বেশ কিছুক্ষণ বিক্ষোভও দেখান তিনি।
বৃহস্পতিবার ভোটগ্রহণ শুরুর পর থেকেই হাবড়ার বিভিন্ন বুথ থেকে অশান্তির খবর প্রকাশ্যে আসে। কোথাও ভোটারদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। কোথাও আবার ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ ওঠে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। এদিন হাবড়া বিধানসভার নারায়ণপুর স্কুলের বুথের দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা ভোটারদের বিজেপিতে ভোট দিতে বলছিলেন, এমন অভিযোগও ওঠে। সংখ্যালঘু মহিলা ভোটারদের ভয় দেখানো হয় বলেও অভিযোগ। খবর পাওয়ামাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছন তৃণমূল প্রার্থী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। বাহিনীর সঙ্গে রীতিমতো বচসায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। বেশ কিছুক্ষণ রাস্তা আটকে বিক্ষোভ দেখান তিনি। পরবর্তীতে বাহিনীর আধিকারিকরা প্রার্থীর সঙ্গে কথা বলে আয়ত্তে আনে পরিস্থিতি। প্রয়োজনে মহিলা পুলিশ ভোটারদের বুথে নিয়ে আসবেন, এমন আশ্বাসও দেওয়া হয়।
[আরও পড়ুন: সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুরে ইদের দিনে ভোট নয়, নতুন সূচি ঘোষণা করল কমিশন]
এই ঘটনার কিছুক্ষণের ব্যবধানেই হাবড়ার ঘোষপাড়া এলাকার একটি বুথ দখলের অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। ওই এলাকার বেশ কয়েকটি বাড়িতে বহিরাগতরা আশ্রয় নিয়েছে, এই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। নিজেই ওই বাড়িতে ঢুকে বেশ কয়েকজনকে বের করে আনেন। পরবর্তীতে ফের বাহিনীর সঙ্গে বচসায় জড়ান তিনি। ফোনে যোগাযোগ করেন হাবড়া থানায়। দীর্ঘক্ষণ পর আয়ত্তে আসে পরিস্থিতি। সবমিলিয়ে ভোটকে কেন্দ্র করে রীতিমতো উত্তপ্ত হাবড়া। ইতিমধ্যেই এবিষয়ে কমিশনে নালিশ করেছে তৃণমূল। এছাড়াও এদিন সকাল থেকেই উত্তপ্ত অশোকনগরও। সেখানে বিজেপি প্রার্থীর গাড়ি লক্ষ্য করে ব্যাপক বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। উলটো দিকে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কাঠগড়ায় তুলেছে তৃণমূল। তাঁদের অভিযোগ, বাহিনী বিনা প্ররোচনায় দুই তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে। যদিও অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেই দাবি কমিশনের।