জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: রাজ্যে সবুজ ঝড় বয়ে গিয়েছে। আশার তুলনায় অনেকটাই বেশি ভাল ফল করে তৃতীয়বারের জন্য বাংলা নিজেদের দখলে রাখতে সক্ষম হয়েছে তৃণমূল (TMC)। কিন্তু বনগাঁয় বয়েছে গেরুয়া ঝড়। বনগাঁ মহকুমার চারটি আসনই পেয়েছে বিজেপি (BJP)। অর্থাৎ মতুয়া ভোট গিয়েছে পদ্মশিবিরে। এরজন্য বাগদা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও সহ-সভাপতিকে কাঠগড়ায় তুলল তৃণমূল। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।
বাগদা (Bagda) বিধানসভা আসন নিজেদের দখলে রাখতে তৃণমূল-বিজেপি উভয়েই মতুয়াদের কাছের মানুষকে প্রার্থী করেছিল। তৃণমূলের তরফে লড়েছিলেন পরিতোষ কুমার সাহা, বিজেপির বিশ্বজিৎ দাস। ফলে জয়ের বিষয়ে আশাবাদী ছিল দুই দলই। কিন্তু ভোটবাক্স খুলতেই বোঝা গেল মতুয়াদের মন বিজেপির দিকেই। প্রায় সাড়ে ৯ হাজার ভোটে পরাজিত হন বাগদার তৃণমূল প্রার্থী।বনগাঁ মহকুমার চারটি আসনেই হার মানতে হয়েছে তৃণমূলকে। সেই কারণে ফের প্রকাশ্যে অন্তর্কলহ। বাগদার তৃণমূল নেতাদের অভিযোগ, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও সহ-সভাপতিই বিজেপির হয়ে ভোট করিয়েছেন। অভিযোগকে কেন্দ্র করে স্বাভাবিকভাবেই সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে এলাকা। সোমবার সকালে পঞ্চায়েত অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও সহ-সভাপতির অপসারণের দাবি জানানো হয়। তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয় অফিসে।
[আরও পড়ুন:ভোটের ফলপ্রকাশের পর বিক্ষিপ্ত অশান্তি রাজ্যে, রাজনৈতিক হিংসার বলি ২]
তবে এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলেই দাবি অভিযুক্তদের। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী আমার মায়ের মতো। মিথ্যে অভিযোগ করা হচ্ছে। প্রশাসন এর ব্যবস্থা নেবে।” এদিকে সার্বিক ফল আশানুরূপ না হলেও বনগাঁর ফলে খুশির হাওয়া বিজেপির অন্দরে।