সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রথম থেকেই জয়ের বিষয়ে প্রবল আশাবাদী ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তবে কমবেশি সকলেরই চিন্তা ছিল, মোদি ম্যাজিক ঠিক কতটা কাজে লাগবে বাংলার নির্বাচনে। কিন্তু ফল মোটামুটি স্পষ্ট হতেই বোঝা গেল, ‘বহিরাগত’ নয়, নিজের মেয়ের উপরই ভরসা রেখেছে বাংলা। তৃণমূলের একাধিক হেভিওয়েট প্রার্থী তথা বিদায়ী মন্ত্রীদের উপর আবারও ভরসা রেখেছে রাজ্যবাসী। একনজরে দেখে নিন মমতার মন্ত্রীদের রিপোর্ট কার্ড।
পার্থ চট্টোপাধ্যায় (বেহালা পশ্চিম): প্রাথমিকে নিয়োগ-সহ নানা ইস্যুতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে কাঠগড়ায় তুলেছিল বিজেপি। যা ভোটবাক্সে বড় ফ্যাক্টর হবে বলে মনে করা হয়েছিল। তবে ফল প্রকাশ হতেই বোঝা গেল ঘরের ছেলে পার্থর উপরই ভরসা রাখলেন মানুষ। বড় ব্যবধানে বিরোধীদের হারিয়ে ফের জয়ের হাসি হাসলেন বিদায়ী শিক্ষামন্ত্রী।
অরূপ বিশ্বাস (টালিগঞ্জ) – টলিপাড়া ফেডারেশন নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল বিস্তর। আশঙ্কা ছিল, তার প্রভাব পড়বে ভোটবাক্সে। কিন্তু হল ঠিক উল্টোটা। বাবুল সুপ্রিয়কে হারিয়ে ফের জয় ছিনিয়ে নিলেন অরূপ বিশ্বাস। ব্যবধানও প্রচুর।
ইন্দ্রনীল সেন (চন্দননগর) – চন্দননগরে একগুচ্ছ অভিযোগ ছিল তারকা প্রার্থী ইন্দ্রনীল সেনের বিরুদ্ধে। কিন্তু শেষপর্যন্ত জয়ী হলেন ইন্দ্রনীল।
বিনয়কৃষ্ণ বর্মন (কোচবিহার উত্তর) – পরাজিত বিনয়কৃষ্ণ বর্মন।
ব্রাত্য বসু (দমদম) – তৃতীয়বারের জন্য দমদম আসন নিজের দখলে রাখলেন ব্রাত্য বসু।
[আরও পড়ুন: রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি আরও সংকটজনক, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত শতাধিক]
সুজিত বসু (বিধাননগর)- সব্যসাচী দত্তকে হারিয়ে জয়ী হলেন সুজিত।
সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী (মন্তেশ্বর) – আসন পরিবর্তন করে এবার মন্তেশ্বর থেকে লড়াই করেছেন সিদ্দিকুল্লা। ফলে ফলাফল নিয়ে দুশ্চিন্তা ছিলই। তবে এবারও বিপুল ভোটে জয়ী হলেন সিদ্দিকুল্লা।
গৌতম দেব (ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি)-সকাল থেকেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছিল। কিন্তু শেষ হাসি হাসতে পারলেন না গৌতম।
জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (হাবড়া) – চাল চুরি থেকে আমফানের ত্রাণ, একাধিক দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছিল। তবে শেষমেশ তাঁর উপরই ভরসা রাখলেন হাবড়া বিধানসভা এলাকার মানুষ।
স্বপন দেবনাথ (পূর্বস্থলী দক্ষিণ) – আবারও জয়ের মুকুট উঠল স্বপন দেবনাথের মাথায়।
চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (দমদম উত্তর)- প্রচুর ব্যবধানে জয়ী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
ফিরহাদ হাকিম (কলকাতা বন্দর)- অভাব-অভিযোগ ছিল প্রচুর। তবে শেষ পর্যন্ত ফিরহাদের উপরই ভরসা রাখল কলকাতা বন্দর বিধানসভার বাসিন্দারা। প্রচুর ব্যবধানে বিজেপি প্রার্থীকে হারালেন ফিরহাদ।
শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় (ভবানীপুর)- ২৯,৩৭৮ ভোটে বিজেপি প্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষকে পরাজিত করলেন জয়ী শোভনদেব।
সুব্রত মুখোপাধ্যায় (বালিগঞ্জ)- গণনার শুরু থেকেই এগিয়েছিলেন। দিনের শেষে জয়ের হাসি তাঁর মুখে।
মলয় ঘটক (আসানসোল উত্তর) – হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে বিজেপি প্রার্থীকে হারালেন তৃণমূলের মলয়।
শশী পাঁজা (শ্যামপুকুর) – ব্যাপক ব্যবধানে বিরোধীদের হারালেন বিদায়ী নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী।
সাধন পাণ্ডে (মানিকতলা) – শুরু থেকেই এগিয়ে ছিলেন সাধন পাণ্ডে। ব্যাপক ব্যবধানে মানিকতলার বিজেপি প্রার্থীকে পরাজিত করলেন তিনি।
রবীন্দ্রনাথ ঘোষ (নাটাবাড়ি)- প্রাক্তন সহকর্মীর সঙ্গে সম্মুখসমরে পরাজিত বিদায়ী উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী। দলত্যাগী মিহির গোস্বামীর উপরই ভরসা করেছেন মানুষ।