রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: নবান্নের সঙ্গে সংঘাতে যেতে নারাজ রাজভবন। সুকান্ত মজুমদারের সমস্ত অভিযোগের জবাব দিয়ে নিজের অবস্থান কার্যত স্পষ্ট করে দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। লোকায়ুক্ত নিয়োগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদ থেকে দুর্নীতি কিংবা পঞ্চায়েতে ভোটে হিংসা, বিবৃতি জারি করে বিজেপির করা সমস্ত অভিযোগের জবাব দিলেন রাজ্যপাল।
শনিবার সকালে রাজভবনে গিয়ে অভিযোগের ঝাঁপি উপুড় করে দিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সন্ধেয় সেই সমস্ত অভিযোগ নিয়ে জবাব দিলেন রাজ্যপাল। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, লোকায়ুক্ত নিয়োগে ত্রুটির বিষয়টি নিয়ে রাজ্য়ের সঙ্গে আগেই আলোচনা হয়েছে। রাজ্য ত্রুটি মেনেও নিয়েছে। চলতি বিধানসভা অধিবেশনে এনিয়ে নতুন করে বিলও আনছে রাজ্য সরকার।
[আরও পড়ুন: ‘বিয়েটা হবে কি না জানি না’, ঐন্দ্রিলার ঠোঁটে ঠোঁট রাখা ছবি দিয়ে কেন একথা লিখলেন অঙ্কুশ?]
আবার জগদীপ ধনকড় সময়কালে বিশ্ববিদ্য়ালয়ের আচার্য পদে রাজ্যপালের বদলে মুখ্যমন্ত্রীকে আনতে চেয়ে বিল এনেছিল রাজ্য় সরকার। তবে রাজ্য়পাল স্বাক্ষর না করায় তা আইনে পরিণত হয়নি। রাজ্য সরকার সেই বিল কার্যত বাতিল করে আচার্য পদে রাজ্যপালকেই বহাল রাখার কথা জানিয়ে দিয়েছে। ফলে আচার্য পদ নিয়ে রাজভবন-নবান্ন সংঘাতের অভিযোগ কার্যত অবাস্তব।
রাজ্যপালের কাছে দুর্নীতি ইস্যুতে সরব হয়েছিলেন সুকান্ত মজুমদার। এনিয়ে রাজভবনের বিবৃতি, দুর্নীতি ইস্যুতে জিরো টলারেন্স নীতি নেওয়া হয়েছে। আইনের ঊর্ধ্বে নয় কেউই। পাশাপাশি, পঞ্চায়েতে ভোটে সন্ত্রাসের কোনও স্থান নেই। নির্বিঘ্নে যাতে ভোট মেটে, তা নিশ্চিত করার কথাও জানিয়েছেন রাজ্যপাল। যা দেখে ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, নালিশ জানাতে গিয়ে রাজ্যপালের কাছে কার্যত কার্যত ধাক্কা খেলেন সুকান্ত মজুমদার।
[আরও পড়ুন: যেন সাক্ষাৎ প্রেতাত্মা! মেকআপ ছাড়াই ভয়ংকর ছিলেন ‘পর্দার ভূত’ অনিরুদ্ধ, জানেন তাঁর গল্প?]
এদিন সকালে রাজভবনে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। প্রায় ঘণ্টাদুয়েক ধরে একান্ত বৈঠক হয় তাঁদের। রাজ্যপালকে রাজ্যের সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত করতে রাজভবনে গিয়েছিলেন বলেই দাবি বিজেপি রাজ্য সভাপতির। যদিও ঘাসফুল শিবিরের সকলেই সুকান্তর দাবি মানতে নারাজ। রাজ্য বিধানসভায় বক্তৃতা পাঠের সময় অশান্তির পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষমা চাইতে রাজ্যপালের কাছে সুকান্ত গিয়েছিলেন বলেই পালটা দাবি তৃণমূলের।