সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ট্রেনের কামরার নীচে, দুই চাকার মাঝখানে ঝুঁকির যাত্রা। সামান্য পথ নয়। ২৫০ কিমি দীর্ঘ পথ ওভাবেই গিয়েছিলেন এক যুবক। জব্বলপুর স্টেশনে ওই যুবককে ট্রেনের নীচ থেকেই উদ্ধার করা হয়েছে। কিন্তু কেন এভাবে প্রাণ হাতে নিয়ে ঝুঁকির যাত্রা!
জেরায় প্রাথমিকভাবে ওই যুবক জানিয়েছেন, তাঁর কাছে ট্রেনের টিকিট কেনার টাকা ছিল না। সেই কারণেই তাঁকে এভাবে যাত্রা করতে হয়েছিল। ঘটনাটি ২৪ ডিসেম্বরের। জানা গিয়েছে, পুণে-দানাপুর এক্সপ্রেস ট্রেন জব্বলপুর স্টেশনে দাঁড়িয়েছিল। রেলের কর্মীরা ট্রেনটিকে পরীক্ষা করছিলেন। কামরার নীচে এক কর্মীর চোখ আটকে যায়। দুই চাকার মধ্যিখানে কিছু একটা আটকে রয়েছে! দেখা যায়, সেটি আর কিছু নয়। এক যুবক সেখানে রয়েছেন। রেলের চালককে দ্রুত সতর্ক করা হয়।
এরপর ট্রেনের কামরার নীচ থেকে তাঁকে বার করে শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। ওই যুবকের কথা শুনে হতবাক হন রেলকর্মী-পুলিশরা। জানা যায়, ইটারসি স্টেশনে পুণে-দানাপুর এক্সপ্রেস দাঁড়িয়ে থাকার সময় ওই যুবক কামরার নীচে ঢুকেছিলেন। দীর্ঘ ২৫০ কিমি রাস্তা তিনি সেভাবেই কামরার নীচে থেকে যাত্রা করেন। কিন্তু এভাবে প্রাণ হাতে নিয়ে কেন যাত্রা? নিছক স্টান্ট দেখানো? নাকি এর পিছনে আছে অন্য কোনও কারণ। রেল পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানিয়েছেন, তাঁর কাছে কোনও টাকা ছিল না। তাই এভাবেই যাত্রা করতে হয়।
এই বক্তব্য কতটা বিশ্বাসযোগ্য? তাই নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। ওই যুবক কার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল? সেইসব বিষয় কিছুই জানা যায়নি। এভাবে যাত্রার জন্য তাঁকে রেলপুলিশ গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক অনুমান, ওই যুবক মানসিক ভারসাম্যহীন।