অর্ণব দাস, বারাকপুর: গান্ধী জয়ন্তীতেও রাজ্য-রাজ্যপালে সংঘাতের শেষ নেই। ফের নাম না করে তৃণমূলকেই বিঁধলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। বললেন, “সবকো সন্মতি দে ভগবান।” দুপক্ষের সংঘাতের আবহে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের এই মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
গান্ধীজির ১৫৪ তম জন্মদিন উপলক্ষে সোমবার বারাকপুরের গান্ধীঘাটে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে অংশ নেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সঙ্গে ছিলেন মুখ্যসচিব, রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ-সহ জেলাশাসক এবং মহকুমা শাসক। গান্ধীজিকে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন তিনি। ‘বাপুজি’র প্রিয় রামধনু সংগীত পরিবেশন করা হয়। এরপর সংবাদমাধ্যমের সামনে রাজ্যপাল তৃণমূলের দিল্লিযাত্রা প্রসঙ্গে মুখ খোলেন। গান্ধীজির জন্মজয়ন্তীতে রাজ্যের শাসক শিবিরকে নাম না করে কার্যত কটাক্ষের সুরেই বলেন, “সবকো সন্মতি দে ভগবান।” রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ বলেন, “আজ শুধু গান্ধীজির দিন।”
[আরও পড়ুন: ছাগ পালনেই চলত সংসার, ধারে লটারির টিকিট কেটে কোটিপতি বর্ধমানের যুবক!]
উল্লেখ্য, ফিরহাদ হাকিম একইসঙ্গে মন্ত্রী এবং মেয়র কীভাবে, এই প্রশ্ন তুলে সম্প্রতি নবান্নে চিঠি পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল। সূত্রের খবর, একই ব্যক্তি কীভাবে একসঙ্গে দুটি পদে আসীন, তা নিয়ে প্রশ্ন করেন। “এটা কী অফিস অফ প্রফিটের মধ্যে পড়ছে?”, চিঠিতে সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি। সেই সংঘাতের আবহে রাজ্যপালের এদিনের মন্তব্য যে ঘৃতাহুতি ছাড়া আর কিছুই নয়, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। রাজ্যপালকে ইতিমধ্যেই তীব্র কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র জয়প্রকাশ মজুমদার। তাঁর কটাক্ষ, “রাজনীতি যখন করছেন তখন কেন্দ্রকে বকেয়া মেটাতে বলতে পারেন। প্রাপ্য টাকা নিয়ে বলতে বাধা কীসের?”
দেখুন ভিডিও:
[আরও পড়ুন: চিকিৎসকের গাফিলতিতে দিদির মৃত্যু! হাত কেটে রক্ত দিয়ে প্ল্যাকার্ড লিখে হাসপাতালে ঘুরলেন বোন]