সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাঁচ উপাচার্যকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে। দেওয়া হয়েছে খুনের হুমকিও। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ রাজ্যপালের। “শেষ পর্যন্ত লড়ব”, হুঁশিয়ারি সিভি আনন্দ বোসের। পালটা জবাব তৃণমূলের।
জগদীপ ধনকড়ের পর সিভি আনন্দ বোস। ফের রাজ্য-রাজ্যপাল বেনজির সংঘাত। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শিক্ষাক্ষেত্রে ‘অতিসক্রিয়তা’র অভিযোগে সরব খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রয়োজনে রাজভবনের বাইরে ধরনার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি। তাঁর সিদ্ধান্তকে কার্যত স্বাগত জানিয়েছেন রাজ্যপাল। প্রয়োজনে রাজভবনের ভিতরে এসে প্রতিবাদের কথা বলেছেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান।
এই চাপানউতোরের মাঝে ভাঙা ভাঙা বাংলায় বিস্ফোরক দাবি রাজ্যপালের। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যের পাঁচজন উপাচার্য ইস্তফার আগে জানিয়েছেন তাঁদের মানসিক চাপ দেওয়া হয়েছে। এমনকী পেয়েছেন খুনের হুমকিও। এরপরই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রমৃত্যুর প্রসঙ্গও তোলেন রাজ্যপাল। তাঁর দাবি, যাদবপুরের মতো বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘মেধা সন্ত্রাস’ চলছে। যারা দুর্নীতি করছে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অঙ্গীকারও করেন রাজ্যপাল।
[আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যসাথীতে রোগী ভরতি নিলে মিলবে হাসপাতাল নির্মাণে ছাড়, নয়া সিদ্ধান্ত কলকাতা পুরসভার]
উপাচার্য নিয়োগ প্রসঙ্গে তাঁর করা পদক্ষেপের পক্ষে সাফাইও দেন রাজ্যপাল। বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়গুলি সুষ্ঠভাবে পরিচালনার জন্য উপাচার্য থাকা প্রয়োজন। শিক্ষাদপ্তর উপাচার্য নিয়োগ করেছে। সুপ্রিম কোর্ট এই সিদ্ধান্তকে বেআইনি ঘোষণা করেছে। সেই কারণে উপাচার্যদের চলে যেতে হয়েছে। সেই অবস্থায় আমি অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগ করেছি। শিক্ষাদপ্তর বলল এটা ভুল। কলকাতা হাই কোর্ট বলেছে ঠিক। সরকার মনোনীতদের উপাচার্য নিয়োগ করতে পারিনি। কারণ কেউ দুর্নীতিগ্রস্ত ছিল, কারও বিরুদ্ধে ছাত্রীকে হেনস্তা করার অভিযোগ রয়েছে। কেউ আবার রাজনৈতিক খেলা খেলছিল। এটা খুব দুঃখজনক যে পাঁচজন উপাচার্যকে পদত্যাগ করতে হয়েছে। তাঁরা আমাকে জানিয়েছে, তাঁদের হুমকি দেওয়া হয়েছে। শিক্ষাদপ্তরের তরফে চাপ তৈরি করা হয়েছে।” তবে রাজ্যপালকে দুষছে তৃণমূল। ‘বিজেপির তল্পিবাহক’ বলে কটাক্ষ সাংসদ শান্তনু সেনের।
দেখুন ভিডিও: